অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোকাল টনিকে কাজ হয়নি, তাই এবার 'চাবুক মেরে'ই কাজ আদায় করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। 'ডু অর ডাই', পঞ্চায়েত ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিকে কড়া বার্তা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। "সন্ত্রাসের গল্প শুনতে চাই না, কাজ করুন নয় দল ছাড়ুন", দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের এই ভাষাতেই ভর্ত্‍‌সনা করলেন এই কেন্দ্রীয় নেতা। 


আরও পড়ুন- নিরাপত্তা বালাই! নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ডিজি


কোনও অজুহাতই আর দিল্লির নেতারা শুনবেন না। জমি তৈরি, ফসল এবার ফলাতেই হবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিকে বার্তা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের। রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "বিপদের সময় ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে সুযোগ এসেছে, তাকে পুরোপুরি কাজে লাগান। তা না হলে দল ছেড়ে দিন "।     


আরও পড়ুন-  ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিস দিয়ে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়, ডিজিকে স্পষ্ট বার্তা কমিশনের 
  
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে আশানারূপ ফল না হলে যে অনেক নেতাকেই পদচ্যুত করা হবে সে কথাও স্পষ্ট করে দেন কৈলাস। তাঁর সাফ কথা, "পঞ্চায়েত ভোটে যে জেলা খারাপ করবে, সেই জেলার নেতাদের আর দলে রাখা হবে না।" সন্ত্রাসের তত্ত্ব খাড়া করেও যে আর রেহাই মিলবে না, সে কথাও নেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয় না কি রাজ্য বিজেপি নেতাদের বলেছেন, "আগামী দিনে বিধায়ক হবেন, মন্ত্রী হবেন। আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না, তা কী করে হয়? ভাল ফল না হলে জেলা আর রাজ্যের অনেক নেতাকেই সরে যেতে হবে।" 


আরও পড়ুন- মনোনয়ন তুলতে নারাজ, বিজেপি প্রার্থীর অন্তঃসত্ত্বা আত্মীয়কে ‘নিগ্রহ’
  
উল্লেখ্য, সোমবার পঞ্চায়েত নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ে বসেছিল রাজ্য বিজেপি। বঙ্গ নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানেই বঙ্গ ব্রিগেডের কাজের মার্কশিট নিয়ে আলোচনা হয়। আর তাতেই রুষ্ঠ হন এই শীর্ষ নেতা। বঙ্গ নেতারা যে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন না, সেটা রাখঢাক না করেই জানিয়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মনোনয়ন পত্র পত্যাহার নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন এই কৈলাস। কীভাবে জোর করে মনোনয়ন পত্র পত্যাহার করানোর সুযোগ পেল শাসক দল, তা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানতে চান তিনি। কেন প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া গেল না, সে বিষয়েও প্রশ্ন করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য বিজেপি নেতারা। 


আরও পড়ুন- বিচারপতির জ্বর, পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েত মামলার শুনানি