বীরভূমের বামাকালী: পুজোর দিনই রং, চোখ আঁকা হয় পালা গানের পর
বামাকালীর পুজোয় রয়েছে অজস্র রীতিনীতি। মূর্তি তেরো ফুটের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের ইনগাছা গ্রামে বামাকালীর মন্দির। বহু প্রাচীন মন্দির। বামাকালীর পুজোর রীতিনীতি কিন্তু একটু অন্য ধরণের। মূর্তি তেরো ফুটের। পুজোর দিনই মূর্তির রং। চক্ষুদান আবার পালাগানের পর।
আরও পড়ুন- সবরীমালার মতো বীরভূমের এই কালী মণ্ডপে প্রবেশাধিকার পান না মহিলারা
কালীপূজার সঙ্গে বীরভূমের বড় নৈকট্য। লাল মাটির বীরভূমে কালী করালবদনীর আরাধনার কত স্থান, কত নামমহাত্ম। এমনই একটি পুজো ইন্দ্রগাছার বামা কালীর পুজো।বহু শতক আগে সাধক মণিরাম গোঁসাই হোরকুনা দিঘির ধারে প্রতিষ্ঠা করেন বামাকালী মন্দিরের। গ্রামটার নামটা ইন্দ্রগাছা। তবে এখন লোকমুখে গ্রামের নাম হয়েছে ইনগাছা। বামাকালীর পুজোয় রয়েছে অজস্র রীতিনীতি। মূর্তি তেরো ফুটের।
আরও পড়ুন- ১০৮ নরমুণ্ড দিয়ে হয় পুজো, নৈবেদ্য থাকে কাঁচা ছোলা, মদ ও মাংস
মূর্তির রং, চক্ষুদান এবং ডাকের সাজ পড়ানো হয় পুজোর দিনেই। কাঠে আগুন জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় ভুসোকালি কালো রং। পুজোর দিন সন্ধ্যাবেলায় গ্রামে পালাগান হয় তারপর হয় চক্ষুদান।
চল্লিশ ফুট লম্বা শালের খুঁটিতে বসিয়ে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে। গাওয়া হয় গোঁসাইয়ের গান। পুজোর হাজার নিয়ম। গোটা গ্রামসুদ্ধ মানুষ পুজোর আগের দিন থেকে উপোস। পুজোর পর খিচুরি প্রসাদ। ভাইফোটার দিন নিরঞ্জন। সেখানেও নিয়ম, প্রতিমা-সম্পূর্ণ বিসর্জন হয়না।