প্রসেনজিত্‍ মালাকার: কালীপুজোর অমবস্যার রাতে কঙ্কালীতলায় কালীরূপে পুজো হয় দেবী কঙ্কালীর। প্রতিবছর এই পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের তরফে ও মন্দির কমিটির তরফে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে পূর্ণার্থীদের কোনওরকম সমস্যা না হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kali Puja at Tarapith Mandir: এই বিশেষ পদটি না থাকলে সেই ভোগ গ্রহণই করেন না মা তারা! তাঁকে দিতে হয় আস্ত এক পোড়া...


বীরভূমের সতীপিঠগুলির মধ্যে অন্যতম পীঠস্থান কঙ্কালীতলা। কথিত, এই স্থানে মায়ের কঙ্কাল পড়েছিল সেই থেকে এই স্থান কঙ্কালীতলা নামে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তির দিন প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে এখানে কঙ্কালীদেবীর বাৎসরিক পুজো হয়ে থাকে। এমনিতে প্রতিদিনই দেবীর পুজোর ব্যবস্থা রয়েছে।


সারা বছরই এই পীঠস্থানে ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। প্রতিবছর কৃষ্ণা বা কার্তিক অমাবস্যা তিথিতে এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দিনে কিছু মানত করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়, সেই কারণে প্রতিবছর কালীপুজোর দিন কঙ্কালীতলাতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।শুধু মাত্র বীরভূম জেলার মানুষরাই নয় দুর দুরন্তের মানুষরাও ছুটে আসেন এই মন্দিরে।


অন্যবছর এই দিনে কঙ্কালীতলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলেও, এবার মন্দিরে সকাল থেকে তেমন মানুষের ভিড় নেই তবে বেলা বাড়লেই ভিড় অনেক বেশি বাড়বে বলেই অনুমান মন্দির কমিটির কালীপুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় বিশেষ পুজো, আরতি হোম যজ্ঞ।


পুজোর দিন এখানে নিরামিষ ভোগ নিবেদনের রীতি রয়েছে। সেই রীতি মেনে এ দিন মধ্যাহ্নে পুষ্পান্ন, ডাল পাঁচ রকমের ভাজা, ফুলকপির তরকারি, পাঁচমিশালী টক ও পায়েস ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যারতি ও মন্দিরের পাশে থাকা কুন্ডে  বিশেষ যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কঙ্কালীতলা মন্দিরের সেবাইতরা জানান, আজ কালী পূজার দিন মহাকালী রূপে পূজিত হন মা কঙ্কালী।



আরও পড়ুন, Khirgram | Bardhaman: বৃদ্ধা রূপে দেখা দিয়েছিলেন স্বয়ং দেবী! এই পীঠের গল্প গায়ে কাঁটা দিয়ে দেবে...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)