Hili: কাঁটাতারের বন্ধনের মধ্যেই কালীপুজোর মুক্তি! সম্প্রীতিতে উজ্জ্বল ঘোর অমানিশা...
kalipuja in Hili: পুজোর দিন এখানে রাঁধা হয় খিচুড়ি। ভেদাভেদ ভুলে মানুষ আসেন প্রসাদ নিতে। দেশভাগের তিক্ততা ও যন্ত্রণা, জাতিভেদের দূরত্ব ও বিচ্ছেদসুর-- সব ভুলে হিলির শ্যামাপুজোয় মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি। কাঁটাতারের গ্রাম। হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়েরই বসবাস। কিন্তু সেখানে একটি কালীপুজো হয়, যেখানে এসে মিলে যায় সব পক্ষই। এই অঞ্চলেই রয়েছে হাড়িপুকুর নামের একটি গ্রাম। যে-গ্রামেই হয় এই পুজো।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ১০৮ বছরের এই লক্ষ্মীপুজোয় দিদির সঙ্গে আসেন ভাইবোনও! সঙ্গে জিলিপি আর ব্রেক ডান্স...
এই পুজোয় এসে হাত মেলান সব পক্ষই-- হিন্দু, মুসলমান, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, এপার-ওপার সবাই। পুজো করেন হিন্দু পুরোহিতই। কিন্তু মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে যুক্ত থাকেন মুসলমানেরা। থাকেন বিএসএফ জওয়ানরাও। শারদীয়া দুর্গার পরে এখানে এই কালীপুজোকে ঘিরে নতুন করে এক সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়। অংশ নেন সব স্তরের মানুষ।
এখানে মূর্তিপুজো হয় না। ঘট পুজো হয়। এটাকে স্থানীয় সকলে কালীর থান বলে থাকেন। খুবই পুরনো এই পুজো। স্বাধীনতার পর থেকেই হয়ে আসছে পুজোটি। আগে এখানে বিদ্যুতের আলো ছিল না। তখন মোমবাতি ও প্রদীপের আলোই ছিল ভরসা। এখন অবশ্য ইলেকট্রিসিটি এসে গিয়েছে। ফলে টুনি বাল্ব-সহ এখন নানা রকম আলোয় সেজে ওঠে এই গ্রাম, পুজোর চত্বর।
আরও পড়ুন: Jhargram Guptamani Temple: একদা নরবলিও হত! আজ বিবর্ণ, সংস্কারহীন মা গুপ্তমণির মন্দির...
পুজোর দিন এখানে রাঁধা হয় খিচুড়ি ভোগ। ভেদাভেদ ভুলে মানুষ আসেন প্রসাদ নিতে। দেশভাগের তিক্ততা ও যন্ত্রণা, জাতিভেদের দূরত্ব ও বিচ্ছেদসুর-- সব ভুলে হিলির শ্যামাপুজোয় মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন।