নিজস্ব প্রতিবেদন : কাটোয়া-বর্ধমান ও কাটোয়া-আহমেদপুর রেলপথে আগামী বছরের শুরুতেই যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর আশ্বাস দিলেন হাওড়া ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার মনু গোয়েল। এর ফলে কাটোয়া জংশনের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল বলে দাবি ডিআরএম-এর। শুক্রবার কাটোয়ায় নবনির্মিত রেলপথ ও স্টেশনের পরিকাঠাম খতিয়ে দেখেন তিনি। সেই সঙ্গে কথা বলেন, কর্মীদের সঙ্গেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২১০ কোটি টাকা ব্যায়ে কাটোয়া বর্ধমান রেলপথের কাজ চলতি বছর অগস্টে শেষ হয়ে গেলেও, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এখনও সেই পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। মনু গোয়েল বলেন, এবার সেই ত্রুটি কাটিয়ে ওই পথে যাত্রীবাহী ট্রেন অল্পদিনের মধ্যেই চালানো হবে। সেই সঙ্গে, ১৮৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন করে তৈরি করা কাটোয়া-আহমেদপুর রেলপথের কাজও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়েছে। এবার এই দুটি পথেই ট্রেন চালিয়ে এবার উন্নতিকরণ করতে চলেছে রেল।


আরও পড়ুন- পুলিসের পাতা ফাঁদে মালদা মেডিক্যালের সামনে ধরা পড়ল জালনোট কারবারি


প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে কাটোয়া-বর্ধমান রুটে ন্যারোগেজ লাইন বন্ধ করে তা ব্রডগেজের রূপান্তরিত করা হয়। এরপর ২০১২ সালে বর্ধমান থেকে বলগোনা পর্যন্ত ২৪.৫ কিলোমিটার রেলপথে ইএমইউ রেক চালানো হয়। ২০১৪-র ডিসেম্বরে কাটোয়া-বলগোনা ২৬.৭ কিলোমিটার ন্যারোগেজ রেলপথ বন্ধ করে, ২০১৫ সালে সেখানে ব্রডগেজ লাইন পাতার কাজ শুরু করে রেল। কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতায় কাটোয়া-বর্ধমান এই রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ করা হয়। অন্যদিকে, ২০১৩-র জানুয়ারিতে কাটোয়া-আহমেদপুর ৫১ কিমি ন্যারোগেজ রেলপথকে বিদায় জানিয়ে সেই পথকেও ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়।


ডিআরএম বলেন, দুটি রেলপথে পরিষেবা চালু হলে কাটোয়ার সঙ্গে এলাকার আর্থিক বিকাশ ঘটবে।