Katwa: জলের অভাব স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল শিশুদের মিড ডে মিল
সেই সঙ্গে পুকুরে হাত মুখ ধুতে গিয়ে যে কোনও সময় বাচ্চাদের বড়ো বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের আপত্তির জেরে আজ সকালে অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং করে বন্ধ করে দেওয়া হয় মিড ডে মিল রান্না। মিড ডে মিল রান্নার করতে আসা মহিলারা জানান স্কুলের বাইরে থেকে জল নিয়ে এসে দীর্ঘদিন ধরেই মিড ডে মিল রান্নার কাজ চলছিল, বর্তমানে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সন্দীপ চৌধুরী: জলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল কাটোয়ার বিকিহাট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল। কাটোয়া ১ ব্লকের অন্তর্গত বিকিহাট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে জলের সমস্যা। বিদ্যালয়ের দুটি পানীয় জলের কল। একটি ছয় মাস আগে খারাপ হয়ে গিয়েছে, অন্যটি খারাপ হয়ে গেছে দেড় মাস আগে।
বিশুদ্ধ জলের অভাবে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল বাচ্চাদের মিড ডে মিল। কল খারাপ হয়ে যাওয়ার পর পাশের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে জল এনে মিড ডে মিলের খাবার রান্নার কাজ চলছিল। কিন্তু রান্নার জন্য ব্যবহৃত বাসনপত্র, বাচ্চাদের খাবার থালা সমস্তই পাশের পুকুরের জলে মাজা, সেই সঙ্গে বাচ্চাদের খাওয়ার পর হাত মুখ ধোয়া সমস্তই করা হচ্ছিল।
পুকুরের অপরিস্কার জলে বাচ্চাদের খাবার রান্না করার বাসন ধোয়া, বাচ্চাদের খাবার থালা ধোয়াতে আপত্তি জানান অভিভাবকরা। অভিভাবকরা জানান পুকুরের অপরিস্কার জলে বাসন ধোয়া মাজার কাজ করার ফলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ১৩ বছরেও চোকাননি লোন, গা থেকে গয়না খুলে স্বামীর ঋণ পরিশোধ বিধায়ক পত্নীর!
সেই সঙ্গে পুকুরে হাত মুখ ধুতে গিয়ে যে কোনও সময় বাচ্চাদের বড়ো বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের আপত্তির জেরে আজ সকালে অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং করে বন্ধ করে দেওয়া হয় মিড ডে মিল রান্না। জেলার ডিএম থেকে শুরু করে স্থানীয় এসডিও, সকলকেই স্কুলের জল কষ্টের কথা জানানোর পরও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ সাহা।
মিড ডে মিল রান্নার করতে আসা মহিলারা জানান স্কুলের বাইরে থেকে জল নিয়ে এসে দীর্ঘদিন ধরেই মিড ডে মিল রান্নার কাজ চলছিল, বর্তমানে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র রান্নার জল নয় স্কুলের পানীয় জলেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘বাংলার বকেয়া অর্থে, সেন্ট্রাল ভিস্তা করছে’, বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ অভিষেকের
অভিভাবকদের কথায় পুকুরের জলে বাসনপত্র ধুয়ে সেই বাসনে খাবার খেতে দিলে বাচ্চাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক আসিফ ইকবাল জানান, ‘স্কুলের মিড ডে মিল এইভাবে বন্ধ করা যায় না। তিনি আরও জানান প্রধান শিক্ষকের উচিত ছিল স্থানীয় স্কুল ইন্সপেক্টরকে জানিয়ে সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করা চেষ্টা করা’। স্কুলের এই সমস্যার কোনও অভিযোগ বিডিও-র কাছে জমা পরেনি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বাচ্চাদের ডিম ও কলা দেওয়া হয়। স্কুলের পানীয় জলের সঙ্কট কবে কাটবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে খুদে পড়ুয়াও।