Jalpaiguri: ১৩ বছরেও চোকাননি লোন, গা থেকে গয়না খুলে স্বামীর ঋণ পরিশোধ বিধায়ক পত্নীর!
Jalpaiguri news: কী গয়না বন্ধক রাখলেন বিধায়ক পত্নী? কত টাকা লোন নিয়েছিলেন বিধায়ক? সুদেআসলে এখন তার পরিমাণ কত?
প্রদ্যুৎ দাস: সমবায় সমিতি থেকে ঋণ! সেই ঋণ পরিশোধ করতে না করায় নোটিস। শেষমেশ গয়না বন্ধক রেখে ঋণ পরিশোধ করলেন বিধায়কের স্ত্রী। সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা দীর্ঘদিনেও পরিশোধ করেননি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। ঋণ পরিশোধ না করায় ওই বিধায়ককে নোটিস পাঠায় ময়নাগুড়ির চুকানিপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। তারপরই গয়না বন্ধক রেখে ঋণ পরিশোধ করলেন বিধায়ক পত্নী।
সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, চুকানিপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিনে পরিশোধ করেননি, তাঁদের সুদসহ ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । প্রায় ১০০ জনকে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম উঠে আসে ময়নাগুড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়ের। ২০১০ সালে সমবায় সমিতি থেকে ২৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন কৌশিকবাবু। যার বাবদ ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত, ১৩ বছরে সুদ হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৫ টাকা। সুদ সহ সেই ঋণ পরিশোধের জন্য মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে। অনাদায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ রয়েছে নোটিসে।
যদিও কৌশিক বাবু ঋণ গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও নোটিস এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন । এরপরই বিধায়ক স্বামীর সম্মান রক্ষার্থে তাঁর স্ত্রী সমবায় সমিতির অফিসে আসেন। রীতিমতো গা থেকে সোনার গয়না খুলে ঋণ শোধ করতে চান তিনি। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করেন। টাকার দাবি করেন। পরে সেই গলার হার ও হাতের লোহা বাঁধানো, এই দুটি গয়না বন্ধক রেখে ঋণ মুকুব করেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক পত্নী। তাঁর বক্তব্য,'এইভাবে একটা ঋণের বিষয় ব্যাংক থেকে কী করে বাইরে চলে যায়? অনেক মানুষের নামে নোটিস থাকলেও আমার স্বামীর নামে নোটিসটি কেন ভাইরাল হল? আমি আমার গয়না দিয়েই এই ঋণ শোধ করব।'
এপ্রসঙ্গে চুকানিপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার নিধির মণ্ডল বলেন, 'গত ৫ বছরের ঊর্ধ্বে যে সব কৃষক ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেননি, তাদের দ্রুত ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে । সেই তালিকায় কৌশিকবাবুর নাম রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ও কৃষকদের স্বার্থে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কে কোথা থেকে এই ছবি ভাইরাল করেছে আমার জানা নেই।' পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি সেন্টাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের ওএসডি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অন্যান্য গ্রাহকদের পাশাপাশি কৌশিক রায়েরও পুরনো একটি লোন ছিল সমবায়ে। সময়মত লোনের টাকা পরিশোধ না করায়, তাঁকে নোটিস পাঠানো হলে বুধবার তিনি সুদ সমেত বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেন।