নিজস্ব প্রতিবেদনএকই সঙ্গে সন্তানের অমানবিকতার ও পুলিশের মানবিকতার সাক্ষী হয়ে থাকলেন কাটোয়াবাসী। হাড় কাঁপানো শীতে সুষ্ঠ সবল মানুষ যখন ঘরের ভিতর গরমের ওম নিয়ে নিজেদের  ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সেই সময় এই প্রবল ঠান্ডায় এক সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা মহিলা (মা) নিজেকে বাঁচাতে ঠাঁই নেন কাটোয়ার ঘুটকিয়া পাড়ার দুর্গা মন্দিরে। বৃদ্ধা বয়সের ভারে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হয়েছে। শরীরের বাসা বেঁধেছে বার্ধক্য জনিত রোগ। নিজের গর্ভের সন্তানদের কাছেই আজ তিনি বোঝা। সংসারে তাঁর মূল্য ফুরিয়েছে, তাই অপ্রয়োজনীয় আবর্জনার মতন ঠাঁয় হয়েছে বাড়ির বাইরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই প্রবল ঠান্ডায় কাটোয়ার অজয় নদের থেকে মাত্র পঞ্চাশ মিটার দূরের মন্দিরে দুদিন ধরে পরে ছিলেন ওই সত্তরোর্ধ্ব মহিলা। আশপাশের কোনও স্বহৃদয় মানুষ দয়াপরবশ হয়ে কিছু খাবার দিলে সেইটুকু খেয়ে পরে ছিলেন ওই মন্দিরে। নিজের সন্তানের কাছ থেকে পাওয়া অবহেলা, অত্যাচারের পরও সেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করছিলেন মা দুর্গার কাছে। বৃদ্ধা কোথা থেকে এসেছেন, কিভাবে এসে কাটোয়ার ঘুটকিয়া পাড়ার মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন তা বলার সাধ্যও বৃদ্ধার। নিজের নাম টুকুও মনে করতে পারছেন না নিরাশ্রয়, অসহায় বৃদ্ধা। দুদিন ধরে তার এই অসহায় অবস্থা দেখে নিজেদের সাধ্য মত সাহায্য করে এলাকাবাসীরা। পুলিসে খবর দেওয়া হয়।



আরও পড়ুন- দাদা, কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন, লোকসভায় সৌগতকে হুঙ্কার মোদীর


এলাকার মানুষের কাছে খবর পেয়ে কাটোয়া থানার আই. সি বিকাশ দত্ত বৃদ্ধা কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অসুস্থ বৃদ্ধার শরীর পরীক্ষা করে তার ডানহাতে আঘাতের চিহ্নের কথা জানান ডাক্তারবাবু। অজ্ঞাত পরিচয় অসহায় বৃদ্ধার পরিচয় জানার চেষ্টা শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। কাটোয়া থানার আই. সি বিকাশ দত্ত জানান পরিচয় জানতে পারলে বৃ্দ্ধাকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করা হবে তা না হলে ওনার আশ্রয় হবে কাটোয়া পৌরসভা পরিচালিত ভবঘুরেদের আশ্রয়স্থল 'ঠিকানা'য়।