নিজস্ব প্রতিবেদন : হাসপাতালের ভিতরেই মহিলার শ্লীলতাহানি । অভিযুক্ত খোদ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নন মেডিকেল ডেপুটি সুপার অনন্য ধর। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুনাম যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়েই কাটোয়া হাসপাতালের নন মেডিকেল ডেপুটি সুপার অনন্য ধরের কুকীর্তির ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হল ফেসবুকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ডেপুটি সুপার তাঁর ঘরের ভিতরে এক মধ্যবয়স্ক মহিলাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করছেন । ভিডিয়োটি পোস্ট করছেন কাটোয়ার এক তরুণী । ভিডিয়োটি দেখে অনন্য ধরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেসবুক পোস্টে ওই তরুণী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই ডেপুটি সুপার অনন্য ধরের  বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, "মহিলাদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ডেপুটি সুপার কাটোয়া মহুকুমা হাসপাতালের মধ্যেই মহিলাদের যৌন হেনস্থা করেন। এমনকি মহিলাদের নিয়ে মধুচক্রের ব্যবসাও চালান।"  এই কারণে বছর কয়েক আগে ডেপুটি সুপার অনন্য ধরের বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কাটোয়া থানায় । কিন্তু তখন উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেদিন হেনস্থার শিকার ওই মহিলা থানায় বসে ঘটনাটি মীমাংসা করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা  জানিয়েছেন । 


আজ দীর্ঘ কয়েক বছর পর ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির প্রমাণ দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে কাটোয়ার বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনায় ডেপুটি সুপারের উপযুক্ত  শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সবাই। এলাকার বাসিন্দা কৌশিক দে বলেন, "হাসপাতালের ভিতরে এই ধরনের নোংরামি চললে মহিলারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে ভয় পাবেন। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কিত হয়ে তাঁদের বাড়ির মহিলাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো বন্ধ করে দেবে। এই ডেপুটি সুপারের জন্য হাসপাতালের চিকিৎসার ব্যাঘাত হচ্ছে।"  


কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার রতন শাসমল জানান,  "ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটি দেখেছি। এই ভিডিয়ো ফুটেজটি হাসপাতালের ভিতরের। হাসপাতালের ভিতরে এই ধরনের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয় । গোটা ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত হবে । বিষয়টি নিয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি । ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে  অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি হবে।"  এদিকে কুকীর্তি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর  ডেপুটি সুপার অনন্য ধর ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচ. ডি.ইউ)-তে ভর্তি আছেন তিনি।


আরও পড়ুন, আর লাইনে দাঁড়ানো নয়, এবার থেকে অনলাইনেই মেট্রো স্মার্টকার্ড রিচার্জ