নিজস্ব প্রতিবেদন : জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিকাকরণের তালিকায় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর নাম থাকাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়ানোর মাঝেই Covid Vaccine নিলেন কাটোয়ার পুরপ্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Chatterjee)। এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কোভিড সেন্টারে ৩৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গেই টিকা নিলেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতেই কাটোয়া হাসপাতালের সুপার নবারুণ গুপ্তা জানান, "রোগীকল্যাণ সমিতির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের নাম টিকাকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি (Rabindranath Chatterjee) রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। করোনা প্রাক্কালে যাঁরা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে। সেই হিসেবে কাটোয়ার (Katwa) বিধায়কের নামও গিয়েছে। তাই উনি আজ টিকা নিলেন।" আর বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জিকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান, "আমার নাম এসেছে। তাই আমি টিকা নিতে এসেছি।"


প্রসঙ্গত, একা রবীন্দ্রনাথ চ্য়াটার্জি নন। আরও এক তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়কও আজ প্রথম দিনেই টিকা নিলেন! ভাতারে টিকা নেন বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মন্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। যদিও এপ্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব  রায় সাফাই দিয়েছেন, যে জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা টিকা পেতেই পারেন। তবে বর্তমান ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরা আদৌ কোভিড ওয়ারিয়র কিনা বা তাঁরা প্রথমদিনেই Vaccine পেতে পারেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। CMOH-এর অবশ্য দাবি, ওনারা প্রত্যেকেই  কোনও না কোনও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। হাসপাতালের সুখে-দুঃখে থাকেন। ওনারা ভ্যাকসিন পেতেই পারেন। উল্লেখ্য, ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিধায়ক সুভাষ মন্ডলকে দিয়েই এদিন টিকাকরণ শুরু হয়।


আরও পড়ুন, আমি ট্রায়ালে Vaccine-র ২টো ডোজ নিয়েছি, সুস্থ আছি : ফিরহাদ হাকিম


টিকা নিয়ে বিধায়ক সুভাষ মন্ডল বলেন, "আমি করোনার টিকা নিলাম আজ। কোনওরকম অসুবিধা হয়নি। সকল মানুষকে এই টিকা নেওয়ার জন্য বলব। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলকে বিনামূল্যে করোনার টিকা দেবেন ঘোষণা করেছেন।" বনমালী হাজরা বলেন, "আজ আমি করোনার টিকা নিলাম। কেবলমাত্র ভাতারের মানুষজনকে নয়, আমি সকল দেশবাসীকে বলব, আপনারা টিকা নিন। করোনা সম্বন্ধে যে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলেছে সরকার, আপনারা সবাই সেই বিধিনিষেধ মেনে চলুন।" তাঁদের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদিও এদিন টিকা নিয়েছেন। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের দলনেতা বাসুদেব যশও এদিন টিকা নেন বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে মহেন্দ্র হাজরা পদাধিকার বলে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য।


উল্লেখ্য, এদিন আলিপুরদুয়ারে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিকাকরণের তালিকায় দেখা যায়, প্রথমেই নাম রয়েছে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর (Sourav Chakraborty)। তালিকা সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাধে। 'চাপের মুখে' পড়ে বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী শেষে জানান, তিনি টিকা নিচ্ছেন না। তাঁকে টিকা দেওয়া নিয়ে অকারণে রাজনীতি করা হচ্ছে। আগে সাধারণ মানুষ পাবেন, তারপর তিনি টিকা নেবেন। 


আরও পড়ুন, Vaccination তালিকায় Sourav-র নামে বিতর্ক! 'টিকা নিচ্ছি না', জানালেন বিধায়ক