ই গোপি: হোস্টেলের মেরামতির কাজ চলাকালীন ছাদ থেকে ভেঙে পড়ল সিমেন্টের চাঙড়। তাতেই মৃত্যু হল এক নির্মাণ শ্রমিকের। শুক্রবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে খড়গপুর আইআইটির মহিলা হোস্টেলে। মৃত শ্রমিকের বাড়ি মালদহের চাঁচলে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে খড়গপুর আইআইটির গান্ধী ঘাটের কাছের ওই মহিলা হোস্টেলে কাজ হচ্ছিল। সেই সময় উপর থেকে চাঁই পড়ে আহত হন ওই শ্রমিক। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর সদর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ওই শ্রমিকের নাম মুক্তার আলি(৩৪)। বাড়ি মালদহের চাঁচল থানার চারালু গ্রামে। মেহবুব নামে এক ঠিকাদারের কাছে কাজ করছিলেন মুক্তার। অন্যান্য শ্রমিকদের অভিযোগ, শ্রমিকদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। কাজ চলছিল আইআইটির ইন্দ্রজিত্ মেহতা সাইটে। ঘটনায় চাঞ্চল্য়ের সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের হাইকোর্টে মামলা, এবার ডিভিশনে বেঞ্চে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক


গত বছর ২০ জানুয়ারি খড়গপুর আইআইটিতেই কাজ করতে এসে মৃত্যু হয় এক নির্মাণ শ্রমিকের। গার্ডার ভেঙে মৃত্যু হয় হয় ওই শ্রমিকের। আহত হন আরও এক শ্রমিকের। আইআইটির গেস্ট হাউসের পেছনে একটি বাড়ি তৈরির সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। কাজ চলাকালীন একটি গার্ডার ভেঙে পড়ে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা মুন্না গুপ্তা নামে এক শ্রমিকের উপরে। ঘচনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পাশাপাশি ওয়াই রাজা নামে আহত এক শ্রমিককে ভর্তি করতে হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। 


২০১৭ সালের অগাস্টে আইআইটির একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল। আটতলা ওই ভবনের নির্মাণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী লিফট। ওই লিফটে চড়েই আটতলায় উঠছিলেন ৩ শ্রমিক। আচমকা সেটি ছিঁড়ে পড়ে যায়। প্রায় আট তলার কাছাকাছি উচ্চতা থেকে মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়েন ৩ শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।


শ্রমিক ছাড়াও ২০১৭ সালের এপ্রিলে খড়গপুর আইআইটিতে হোস্টেলে গালায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন এক ছাত্র। নিধিন এন নামে ওই ছাত্র ছিলেব এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া।


এবছরই জুন মাসে খড়গপুর আইআইটির আবাসনে উদ্ধার হয় তত্কালীন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ। আইআইটির শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্ট্টিউ অব মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিত্সক ছিলেন স্বাগতা ভট্টাচার্য। কোয়াটার্রে থাকতেন মায়ের সঙ্গে। ঘটনার দিন সকালে স্বাগতার মা বাজার থেকে ফিরে এসে দেখেন মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান অবসাদের আত্মঘাতী হয়েছেন স্বাগতা।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)