খিদিরপুরে বাস রেষারেষির বলি যুবক, পরপর ৩টি বাসে আগুন ক্ষুব্ধ জনতার
শুরু হয়ে যায় পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে দেদার ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরদুপুরে খিদিরপুরে ধুন্ধুমার। দুটি বেসরকারি বাসের রেষারেষিতে বেঘোরে মৃত্যু এক যুবকের। প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরপর তিনটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় ধুন্ধুমার বাঁধে এলাকায়। দেহ আটকে চলে তুলকালাম। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে দেদার ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিস।
সূত্রের খবর, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই মোমিনপুর দিয়ে রিমাউন্ড রোড হয়ে বাসগুলো যাতায়াত করে। এদিনও বেহালার দিকে যাচ্ছিল ১২সি/১ রুটের বাসগুলি। পাশাপাশি বাইকে করে যাচ্ছিলেন অনিলও। সেই সময় দুটো বাস রেষারেষিতে ধাক্কা খায় বাইকটি। অনিলের মাথার উপর দিয়ে একটি চলে যায় বাস। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বামেদের বনধকে সমর্থন করায় ছাত্র-শিক্ষককে বেধড়ক মার মেদিনীপুরে
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অনিল বর্মা (৩০)। রিমাউন্ড রোড এলাকারই বাসিন্দা সে। মোমিনপুরের রিমাউন্ট রোডের বাস দুর্ঘটনায় মৃত অনিল বর্মার পাড়া কার্যত বাকরুদ্ধ। মর্নিং ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বিহারের বাসিন্দা অনিলের। স্ত্রী সন্তান সহ গোটা পরিবারে কলকাতায় ফিরছে আগামিকাল। একমাত্র আত্মীয় বলতে মামা, তিনিও বাক্যহারা।