Kojagari Lakshmi Puja: ভয়ংকর! ভূতের ভয়ে সারাবছর জনশূন্য থাকে গ্রাম, শুধু লক্ষ্মীপুজোর দিনই সেখানে...
Kojagari Lakshmi Puja in Deserted Village: ঘরছাড়া হয়ে গেলেও গ্রামে বছরে একবার একদিনের জন্য জমায়েত হন সমস্ত গ্রামবাসীরা। সেই দিনটি লক্ষী পুজোর দিন। এখানে রয়েছে তাঁদের প্রিয় লক্ষ্মীমন্দির।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: এক সময়ে ভূতের আতঙ্কে পুরো গ্রামের লোক ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্যান্য গ্রামে। এমনই কথা রটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির বেনা গ্রাম নিয়ে।
এই গ্রামে কয়েক বছর আগে বহু মানুষ বসবাস করতেন। প্রায় কুড়ি বছর আগে বেনা গ্রামের বাসিন্দারা এক-এক করে ঘরছাড়া হয়ে যেতে থাকেন। কেন? ভূতের ভয়ে। শোনা যায়, সেই গ্রামে নাকি ভূত ভর করেছে। সেই ভয়ে ঘর ছাড়ার ফলে বেনা গ্রামের সমস্ত বাড়ি ধীরে ধীরে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যায়।
তবে ঘর ছাড়া হয়ে গেলেও বছরে একবার একদিনের জন্য জমায়েত হন সমস্ত গ্রামবাসীরা। সেই দিনটি হচ্ছে লক্ষ্মীপুজোর দিন। কারণ, এখানে রয়েছে তাঁদের লক্ষ্মীমন্দির। বহু পুরনো তাঁদের এই লক্ষ্মীমন্দির। তবে, এই বছর নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে এটি। আর সেই নতুন মন্দিরে এবার ধুমধাম করে হচ্ছে লক্ষ্মী পুজো।
আরও পড়ুন: Bangladesh: দুর্গোৎসবশেষে পূর্ণিমা তিথিতে আজ বাংলার ঘরে-ঘরে লক্ষ্মীপুজো...
সবকিছু ঠিকঠাক হলেও বেনা গ্রামের বাসিন্দারা এই গ্রামে আর বসবাস করবেন না বলেই জানা গিয়েছে। পাশ দিয়ে গিয়েছে রেল লাইন, রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের এলাকা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। অন্য দিকে, আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক চললেও গ্রামের বাসিন্দারা এখনও এখানে বসবাস শুরু করার কথা ভাবেনি।