জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজোর পরে এবার লক্ষ্মীপুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো সবেমাত্র শেষ হয়েছে। একটা ক্লান্তি যেন গ্রাস করেছে সকলকে। কিন্তু তার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: দশমীর মিষ্টি নিয়ে মিষ্টি আবেগ এখনও বেঁচে! ওইটুকুই বাঙালিয়ানা...


আর মাত্র কয়েকটা দিন হাতে। তার পরেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো খুবই লোকপ্রিয় পুজো। দীপান্বিতা লক্ষ্মীর মতো অবশ্য এত জনপ্রিয় নন কোজাগরী লক্ষ্মীদেবী। তবে কোজাগরী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় এ সময়ে মেতে ওঠে দেশের একটা বড় অংশ।


এ সময়ে তাই ব্যস্ততার রং চারিদিকে। প্রতিমাশিল্পী থেকে শুরু করে দশকর্মা, ফল-ফুলওয়ালা, মিষ্টির দোকান, গৃহকর্তা-- সকলেই ব্যস্ত লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে। 


বাংলায় লক্ষ্মীপুজো মোটামুটি প্রতি ঘরে ঘরেই হয়। যেহেতু প্রতি ঘরে এই দেবীর পূজা হয়ে থাকে সে কারণে প্রতিমার চাহিদাও থাকে বিস্তর। নদীয়া জেলার বিভিন্ন এলাকার পাল বাড়িগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা দেবীমূর্তি বানানোর কাজে। সকাল-সন্ধ্যা এক করে এই সব বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে সব সদস্যই মোটামুটি ব্যস্ত থাকেন। মাটির দলা বানিয়ে তা ছাঁচে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি হয় ঠাকুর। হয় রং-তুলির কাজ। এরপরে ক্রেতাদের হাত ধরে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যান দেবী।


সাধারণ মানুষ লক্ষ্মীলাভের আশায় এই দেবীর পুজো করেন, কিন্তু হয় কি লক্ষ্মীলাভ? লক্ষ্মীশ্রী কি ফিরবে জীবনে?


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: বাড়ির নাড়ু-নিমকি এখন অতীত, দশমীর মাঠ মাতাচ্ছে ৭৫ রকমের রেডিমেড মিষ্টি...


গতকাল ছিল বিজয়াদশমী। বাঙালির মিষ্টির দিন। সকাল থেকেই এলাকার মিষ্টির দোকানে ছিল উপচে-পড়া ভিড়। বাঙালি আর নাড়ু-নিমকিতে সীমাবদ্ধ নেই। ইদানীং সকলেই রেডিমেড মিষ্টির দিকে ঝুঁকেছে। আগে বাঙালি বাড়িতে মিষ্টি বানাত। নাড়ু নারকোল ছাপা তো ছিলই, হত নিমকি-সহ বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেসব অতীত। এখনকার বাঙালি রেডিমেড মিষ্টির দোকানেই ভিড় বাড়াচ্ছে। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)