নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বছরের ঘটনা। দাঁত মাজতে গিয়ে ব্রাশ গাল ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। সে কী কাণ্ড! গোটা ব্রাশটাই মুখের ভিতর। একটা অংশ মুখের মধ্যে। আর বাকিটা কানের সামনে। অবশেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যেম ওই অবস্থা থেকে ব্রাশ বার করে গেল। মুখে সেলাই পড়লেও একমাস পর সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন রোগীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘সরিয়ে দেওয়ার হলে সরিয়ে দিন’, স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ফের ফেসবুকে পোস্ট আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের স্ত্রীর


গত ২রা ডিসেম্বর বাড়ির সামনেই একটি ঘাটে দাঁত মাজছিলেন ৩৫ বছর বয়সী কবিতা পাল।  আচমকাই ঘাটের উপর পড়ে যান হাওড়ার শ্যামপুর থানা এলাকার মুকুন্দ দীঘীর বাসিন্দা ওই বাসিন্দা। যার ফলে মুখে থাকা ব্রাশের উপর ভাগটি গাল ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় কানের নিচের অংশ দিয়ে। সেই সময় পাশেই ছিল কবিতা পালের মেয়ে পুজা পাল। কবিতার চিৎকারে সেখানে পৌঁছান স্বামী গৌতম পাল সহ পরিবারের লোকজন। দেরি না করে তাঁকে তখনই নিয়ে যাওয়া হয় পটলডাঙা গ্রামীন হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে কবিতাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এহেন বিরল ঘটনা দেখে দ্রুত একটি মেডিকেল টিম গড়ে তার চিকিৎসা শুরু করেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেইদিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করা হয় ব্রাশটি। মুখের বাইরে ৩টি ও মুখের ভিতরে ২টি সেলাই দেওয়া হয়। অবশেষে সোমবার সুস্থ অবস্থায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন কবিতা পাল। চিকিৎসকদের তৎপরতায় নিজের জীবন ফিরে পেয়ে খুশি কবিতা পাল সহ তাঁর পরিবার।  চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে কবিতা পাল বলেন, চিকিৎসকদের তৎপরতার কারণেই নতুন জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়েছে তাঁর।