Kurmi Agitation: রাতভর বৈঠক, তবু অধরা সমাধান সূত্র; আন্দোলনের পথেই কুড়মি সমাজ
এই বৈঠকে যোগ দেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা। রবিবার মধ্যরাত থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর) দফতরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। উল্লেখ্য, বিগত ৫ এপ্রিল থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে চলছিল রেল রোকো আন্দোলন।
মনোরঞ্জন মিশ্র: রাতভর বৈঠক হওয়ার পরেও সমাধান সূত্র বেরোলো না আদিবাসী কুড়মি সমাজের আন্দোলনের। জেলা পুলিস প্রসাশনের সঙ্গে আদিবাসী কুড়মি সমাজের বৈঠক হলেও তাতে কোনরকম সুরাহা হলো না। ৯৬ ঘন্টা পার হওয়ার পরেও এখনও চলছে রেল রোকো আন্দোলন ।
রবিবার মধ্যরাত থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর) দফতরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো সহ সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার, অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার (অপারেশন) এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে রেল ও রাস্তা রোকো আন্দোলন তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় আন্দোলনকারিদের। পাশাপাশি আদিবাসী কুড়মি সমাজের দাবি নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানা গিয়েছে। মধ্য রাত থেকে চলা এই বৈঠকে আন্দোলনের বরফ কতটা গলবে সেটাই ছিল দেখার বিষয়।
এই বৈঠকে যোগ দেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা। এছাড়াও আদিবাসী কুড়মি সমাজের চার জেলার নেতৃত্ব যোগ দিয়েছেন বৈঠকে।
উল্লেখ্য, বিগত ৫ এপ্রিল থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে চলছিল রেল রোকো আন্দোলন। একইসঙ্গে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন তাঁরা। চারদিন ধরে আন্দোলন চলার পর রবিবার মধ্যরাতে দফায় দফায় বৈঠক হয় জেলা পুলিস প্রশাসন এবং চার জেলার কুড়মি সমাজের নেতৃত্বের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Nandigram: পদ্মফুল দেখেই পার্টিটা করি; কাউকে দেখে নয়, দল ছাড়লেন নন্দীগ্রামের ২ বিজেপি নেতা
পাশাপাশি এই আন্দোলনের ফলে বিপর্যয় বাড়ছে দক্ষিণ পূর্ব রেল যোগাযোগে। শুক্রবার ৬৯টির পরে শনিবার এখনও পর্যন্ত ৫৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। এই রাজ্য থেকে দক্ষিণ পূর্ব শাখার রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ কার্যত মুখ থুবড়ে পরেছে। বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রেল। কারণ বাতিল ট্রেনের যাত্রীদের ফেরত দিতে হচ্ছে টিকিটের টাকা। আবার উল্টোদিকে যাত্রীদের ভোগান্তিরও কোনও সীমা নেই। ১২০ দিন আগে টিকিট বুক করেও এই চরম ভোগান্তিতে তারা তিতিবিরক্ত।
কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির আওতায় আনতে হবে। সারনা ধর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে। কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে রাজ্য়ের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে চলছে লাগাতার আন্দোলন।
অভিযোগ, সিআরআই রিপোর্টের উপর কমেন্ট জাস্টিফিকেশন পাঠানোর নামে দ্বিচারিতা ও টালবাহানা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই এরই প্রতিবাদে এই রেল রোকো আন্দোলনে সামিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ।