নিজস্ব প্রতিবেদন: গোবরডাঙায় বিজেপির অহিংস কর্মসূচিতে তৃণমূলের নির্দেশে হামলা চালিয়েছে পুলিস। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে মহিলা বিজেপি কর্মীদের। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই অভিযোগ করলেন, শহর যুব বিজেপি সভাপতি রাহুল দত্ত বণিক। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে আহত বিজেপি কর্মীদের চিকিত্সা করতে চায়নি স্থানীয় কোনও হাসপাতাল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন রাহুলবাবু বলেন, কাটমানি ফেরত ও গোবরডাঙা হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তার আগেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিস ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আগে থেকেই পুর ভবনে দুষ্কৃতীদের জড়ো করেছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কর দত্ত। মজুত ছিল বোমাও। মিছিল পুরভবনের কাছে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিস। মারধর করা হয় মহিলা বিজেপি কর্মীদেরও। মহিলাদের শাড়ির আঁচল ধরে টানা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় ব্লাউজ। 


আইন অমান্য ঘিরে গোবরডাঙায় বিজেপি - পুলিস সংঘর্ষ, মাথা ফাটল পুলিসকর্মীর


রাহুলবাবুর অভিযোগ, আহত বিজেপি কর্মীদের নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে তাদের চিকিত্সা করতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের নির্দেশেই নিরীহ বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিস। 


বিজেপি যুব মোর্চার স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘিরে শনিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোবরডাঙা পুরসভা চত্ত্বর। বিজেপি কর্মীরা পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিস বেধড় লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ঘটনায় এক পুলিসকর্মীর মাথা ফাটে। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী।