Kojagori Lakshmi Puja: কোজাগরীর আবহে বাজারে ফিরছে লক্ষ্মীসরার মধুর স্মৃতি...
Kojagori Lakshmi Puja:প্রকারভেদে লক্ষ্মীর সরায় বিভিন্ন রকমের ছবি আঁকা হয়। কোনওটা দুর্গাচরা, কোনটা পুতুল, কোনওটায় আবার জয়া-বিজয়া। নদীয়ার তাহেরপুর আড়ংঘাটা নবদ্বীপ-সহ আশেপাশের অঞ্চলে এই লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়ে থাকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজোর পরে আসে লক্ষ্মীপুজো। ঘরের মেয়ে কৈলাসে ফিরে যাবার পরে বাঙালির মন থাকে দুঃখভারাক্রান্ত। সেই মনোকষ্ট অনেকটা কেটে যায় এই লক্ষ্মীপুজোয়। সারা রাজ্যের প্রায় সর্বস্তরের মানুষ লক্ষ্মীপুজো করে থাকেন। পুরাণ অনুযায়ী, লক্ষ্মী শ্রী-সম্পদ ও সৌন্দর্যের প্রতীক। লক্ষ্মী পুজো মূলত দুইভাবে হয়ে থাকে। কেউ করেন সরায়, অনেকে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন লক্ষ্মীমূর্তিতে।
লক্ষ্মীর সরার আগমন মূলত ওপার বাংলা থেকে। এদেশীয় লোকেরা বরাবর মূর্তি পুজোতেই অভ্যস্ত। ওপার বাংলার মানুষজনই মূলত সরায় লক্ষ্মীপুজো করে থাকেন। বাংলাদেশের ফরিদপুর ও ঢাকা-- এই দুই জায়গাতেই বিশেষত এর বাহুল্য লক্ষ্য করা যায়।
প্রকারভেদে লক্ষ্মীর সরায় বিভিন্ন রকমের ছবি আঁকা হয়। কোনওটা দুর্গাচরা, কোনটা পুতুল, কোনওটায় আবার জয়া-বিজয়া। নদীয়ার তাহেরপুর আড়ংঘাটা নবদ্বীপ-সহ আশেপাশের অঞ্চলে এই লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়ে থাকে। মূলত দুর্গাপুজোর সময় থেকেই লক্ষ্মীপ্রতিমা নির্মাণের কাজে হাত লাগান মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: কৈলাসে ফেরার আগে এই নদীর পাড়ে খানিক বিশ্রাম নিয়েছিলেন উমা! তারপর থেকে...
প্রথমে মাটি মেখে ছাঁচে ফেলে সরা তৈরি করে তারপর তা আগুনে পুড়িয়ে তার উপরে ছবি আঁকা হয়। এভাবেই সরা তৈরি করেন তারা। সারা বছর অন্য কাজ করলেও পুজোর মরসুমে সরার কাজে হাত লাগান তাঁরা। লক্ষ্মীলাভের আশায় সাধারণ মানুষ এই দেবীর পূজা করেন।