Lalan Sheikh: `সিবিআই-কে দিল রক্ষাকবচ, আর আমার পরিবার গেল রসাতলে`!
লালন শেখ মৃত্যু মামলায় সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ। SIT-কে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
প্রসেনজিৎ মালাকার: লালন শেখের মৃত্য়ু মামলায় SIT-কে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে 'খুশি' লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। বললেন, 'তদন্তটা ভালো হবে'।
দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ।
বগটুইকাণ্ডের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন লালন। শেষপর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের একটি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু ধরা পড়ার পর, রামপুরহাটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্পেই পাওয়া যায় লালনের ঝুলন্ত দেহ! কবে? ১২ ডিসেম্বর।
এদিন লালনের স্ত্রী বলেন, 'ভালোর জন্যই দিয়েছে। শুনে ভালো লাগছে। তদন্তটা ভালো হবে। আমার স্বামীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তার বিহিত হবে। আমি খুশি হয়েছি। কিছু তো বের হবে'। তাঁর আক্ষেপ, 'যাঁরা খুন করল, তাঁদের রক্ষাকবচ দিল। সিবিআইয়ের তো অধিকার ছিল না, একজন আসামীকে মেরে দেওয়ার। সিবিআই-কে দিল রক্ষাকবচ, আর আমার পরিবার গেল রসাতলে'।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সভায় এসে বজ্রাঘাতে মৃত্যু, আর্থিক সাহায্যের সঙ্গেই চাকরির আশ্বাস মন্ত্রীর
এর আগে, সিআইডি যখন লালন শেখের মৃত্য়ুর তদন্ত করছিল, তখন একাধিক সিবিআই আধিকারিকের নাম উঠে আসে। এমনকী, বগটুইকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসারকে নোটিশও পাঠায় রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। জানতে চাওয়া হয়, শেখের মৃত্যু কী ভাবে হল? সিবিআই হেফাজতে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন ছিল? এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই। সেই মামলা প্রেক্ষিতেই SIT-কে তদন্তভার দিল হাইকোর্ট।