Nadia: রাতের ঘুম উড়েছে ভাগীরথীপাড়ের মানুষজনের! দুঃস্বপ্নের প্রহর গুনছেন তাঁরা...
Nadia: ফের বেলঘড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায় নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় চিন্তায় ঘুম উড়েছে গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দাদের। দিনরাত নদীর ধারে বসে আছেন তাঁরা। কবে মিটবে এই সমস্যা?
বিশ্বজিৎ মিত্র: ফের রাতের ঘুম উড়েছে ভাগীরথীর পাড়ের মানুষের। দুঃস্বপ্নের প্রহর গুনছেন নদীয়ার বেলঘড়িয়া দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায় প্রায় হাজারখানেক মানুষ। প্রতি রাতেই একটু একটু করে ভাগীরথীর পাড় বসে যাচ্ছে, যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী শতাধিক মানুষ। ভরা বর্ষা নয়, শুখা মরশুমেই এভাবে গঙ্গার পাড় একটু-একটু করে বসে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন।
ফের বেলঘড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায় নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় চিন্তায় ঘুম উড়েছে গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দাদের। দিনরাত এক করে নদীর ধারে বসে আছেন তাঁরা। শুধু বিহারিয়া মটপাড়া এলাকা নয়, আশেপাশের শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর সারাগর, স্টিমার ঘাট অঞ্চলেও অল্প অল্প করে বসছে নদীপাড়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ-- ভোট আসে ভোট যায়, নজর দেন না কেউই।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর আগে ভাঙনের ফলে তলিয়ে গিয়েছিল বসতবাড়ি থেকে শুরু করে চাষজমি। গঙ্গাপাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধও করেছিলেন গ্রামবাসীরা। এর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কাজ। মাঝে বেশ কয়েক বছর সেভাবে ভাঙন দেখা না দিলেও, কয়েকদিন আগে হঠাৎই স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন, ফের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল।
আরও পড়ুন: Pushpak: ফিরল রামায়ণের সেই গগনবিহারী 'পুষ্পক রথ'! রাবণবধের পরে সীতাকে নিয়ে এতেই ফিরেছিলেন রাম...
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিষয়টি প্রধানকে জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে, আমি ভাঙন-এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করব।