নিজস্ব প্রতিবেদন: ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে আবার ভাঙন। বিপদ এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি এবং মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই সময় হুগলি নদীর পারে এসডিও মাঠের উল্টোদিকে  সৌন্দর্য্যয়ানের কাজ করার সময় নদীর পার-সহ জাতীয় সড়কের একতৃতীয়াংশ ভেঙে যায়। ব্যস্ততম রাস্তায় যান চলাচল যাতে বেশিদিন বন্ধ না থাকে তার জন্য স্থানীয় সাংসদের উদ্যোগে যুদ্ধকালীন ততপরতায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে যান চলাচল শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:সংবিধান মেনেই সাক্ষাত্! রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আজ বৈঠক ধনখড়ের


এক বছর ধরে ধাপে ধাপে সেই ভাঙন মেরামতের কাজ চলছে। সেই মেরামতের শেষধাপে আবার বড়সড় ফাঁটল দেখা দেয় ১১৭ জাতীয় সড়কে। তিনটি পর্যায়ে নদীর নীচ থেকে জাতীয় সড়ক বরাবর এই মেরামতের কাজ হচ্ছিল। দুই ধাপে বোল্ডার ফেলে সিট পাইলিং করা হয়। শেষধাপে রবিবার জাতীয় সড়কের উপর বড়বড় লোহার পাত ঢুকিয়ে পিটিয়ে সিট পাইলিং-এর কাজ চলছিল। লোহার পাত পিটিয়ে ঢোকানোর সময় জাতীয় সড়কে ফাটল লক্ষ্য করেন কর্মীরা। এরপরই দ্রুত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।


ফাটল এতটা বিপজ্জনকভাবে হয়েছে যে প্রশাসনের তরফ থেকে পুরো জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় গাড়ি থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি এবং মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয় নিরাপত্তার খাতিরে। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও যেতে নিষেধ করা হয়।  প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে  রবিবার  তিনটি ধাপের সিট পাইলিং এর কাজ চলছি । ঠিক তখনই  ফাটল ধরে ওই রাস্তায়। সোমবার সকাল থেকেই ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের শিরাকোল থেকে বাসগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  যে বাস গুলি ডায়মন্ড হারবারের  উপর দিয়ে যাচ্ছে সেগুলিকে বিকল্প পথ হিসেবে স্টেশন মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে কাজ চলছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।