বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত ল ক্লার্ক, মুক্তিপণ না পেলে খুনের হুমকি
অনেক রাতে বাড়িতে ফোন আসে। ছেলেদের তিনি জানান, আমাকে তুলে নিয়ে এসেছে, তোরা আমায় বাঁচা। তারপর থেকেই অপহরণকারীদের ফোন, মুক্তিপণ হিসাবে দিতে হবে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। না হলে তাদের `বাবা`কে ফিরে পাওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে আসার সময় প্রথমে অপহরণ। তারপর মুক্তিপণ চেয়ে ঘনঘন ফোন। টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানায় দেউলার বাসুদেব পুর গ্রামে।
৭ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হন পেশায় ডায়মন্ড হারবার কোর্টের অস্থায়ী ল ক্লার্ক নারায়ণ চন্দ্র হালদার। এরপর প্রতিদিনের মতো কাজের শেষে সন্ধ্যা পাঁচটার সময় দেউলা স্টেশনে নেমে বাড়িতে ফোন করে তাঁর ফেরার কথা জানান। তারপর তিনি জানান, বিশেষ কাজে সোনারপুর স্টেশনে রয়েছেন। এত পর্যন্ত সব ঠিকই চলছিল। গোল বাঁধল এর পরেই।
অনেক রাতে বাড়িতে ফোন আসে। ছেলেদের তিনি জানান, আমাকে তুলে নিয়ে এসেছে, তোরা আমায় বাঁচা। তারপর থেকেই অপহরণকারীদের ফোন, মুক্তিপণ হিসাবে দিতে হবে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। না হলে তাদের 'বাবা'কে ফিরে পাওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন- খাদিমকর্তা অপহরণ মামলায় ৮জনেরই যাবজ্জীবন
অপহৃতের বাড়ি থেকে বলা হয়, "আমরা উস্তি থানায় গোটা ঘটনা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পুলিশ আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে তেমন ভাবে আমরা চলছি।" তাঁরা আরও জানান, গত রবিরার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নালুয়া টাওয়ার নামে একটা জায়গায়। সেখানে সময় মতো পৌঁছলেও অপহরণকারীরা আসেনি। এরপর আবার ফোন পায় নারায়ণবাবুর বাড়ির লোকেরা। ফোনে অপহরণকারীরা বলে, "পুলিশকে জানিয়েছিলি কেন?" সেই থেকে লাগাতার হুমকি ফোন এসে চলেছে। বলা হচ্ছে, আগে টাকা হস্তান্তর হবে, তারপর নারায়ণবাবুকে পাওয়া যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে ফোন থেকে ফোন আসছে তার টাওয়ার লোকেশান রায়দীঘির কোন জায়গা। অপহরণকারীরা সেখানেই আত্মগোপন করে আছে বলে অনুমান পুলিসের।