নিজস্ব প্রতিবেদন: পরকীয়ার জেরে যাবজ্জীবন সাজায় দণ্ডিত হলেন আই সি ডি এস-এর প্রকল্প আধিকারিক প্রশান্ত সাহু। পরকীয়ার জেরে পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে খুন। ঘটনার নয় বছরের মাথায় অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর প্রেমিকাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দিল জলপাইগুড়ি আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সংখ্যা না থাকলেও তৃণমূলকে চাপে রাখতে মেয়র পদে প্রার্থী বিজেপির


১৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সাল জলপাইগুড়ি দিশারী মোড় এলাকার নিজের বাড়িতে উদ্ধার হয় আই সি ডি এস কর্মী মিতা সাহুর রক্তাত্ত দেহ। পরে তদন্তে উঠে আসে মাথায় হাতুরির আঘাতে খুন করা হয় মিতা দেবীকে। সেই সময় স্বামী প্রশান্ত সাহু আই সি ডি এস-এর দার্জিলিং জেলার প্রকল্প আধিকারিক। তাঁর সাথে দীপা মল্লিক নামে এক আই সি ডি এস কর্মীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে খুন হতে হয় মিতা সাহু-কে।


আরও পড়ুন- টাকা চুরির অভিযোগে কিশোরকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গণধোলাই


পুলিসি জেরায় খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছিল দিপা মল্লিক। পুলিশসূত্রে উঠে আসে ঘটনার দিন দীপা মল্লিক  শিলিগুড়ি থেকে বাসে চেপে জলপাইগুড়ি এসে  সন্ধ্যায় প্রশান্ত সাহুর বাড়িতে যায়। ঐ সময় প্রশান্ত সাহু তাঁর মেয়েকে নিয়ে গানের শিক্ষকের বাড়িতে যান। এর পর মিতা দেবীর মাথায় হাতুরি মেরে তাঁকে খুন করার পর বাথরুমে হাতুরি রেখে ঘর লণ্ডভণ্ড করে পালিয়ে যায় দীপা। যাতে কি না মনে হয় ডাকাতি হয়েছে। এরপরে প্রশান্ত সাহু মেয়েকে নিয়ে ফিরে এসে ডাকাত ডাকাত বলে চিত্কার শুরু করে দেন। যা কি না পরিকল্পিত ছিল।


আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে আপনিও পেতে পারেন বিজেপির টিকিট, রয়েছে একটাই শর্ত


জলপাইগুড়ি আদালতের এ পি পি বিশ্বরুপ রায় জানান ৯ বছর ধরে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহনের পর জলপাইগুড়ি ফাস্টট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টেক বিচারক সৌগত রায়চৌধুরী অভিযুক্ত প্রশান্ত সাহু ও দীপা মল্লিক-কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০(বি) ধারায় দোষী সাবস্ত করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।