নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দাবি উঠেছে পুলিস সুপারকে অপসারণেরও। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিসবাহিনী। খেলার মাঠে যুবককে গুলি করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ফের তেতে উঠল ঝাড়গ্রাম(Jhargram)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পুলিসের চোখে ধুলো দিতে নতুন পদ্ধতিতে বিপুল সংখ্যক কচ্ছপ পাচার, ধরা পড়ল হাতেনাতে


ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। ঝাড়গ্রামে(Jhragram) বাছুরডোবা এলাকায় পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র গুলি চলে খেলার মাঠে। অভিযোগ, পুলিসকর্মী বিশ্বজিৎ গুরুং নামে পিস্তল বের করে এক যুবককে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালায়। এরপর ওই যুবককে ভোজালি দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে থেকে মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গুলিবিদ্ধ যুবক। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা।


আরও পড়ুন: ঘরের ভিতরে ১৩ ফুট লম্বা কিংকোবরা!


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে ওই ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছিলেন খোদ ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার। উদ্বোধনের পর প্রতিটি খেলায় মোতায়েন ছিলেন পুলিসকর্মীরা। এমনকী, যেদিন গুলি চলে, সেদিনও মাঠে ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। তাঁদের উপস্থিতিতে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ,'ঝাড়গ্রাম শহর এবং শহরতলি এলাকায় আইনের শাসন অনেকটা শিথিল হয়ে গিয়েছে। পুলিস শুধুমাত্র বালি এবং মোরাম খাদান থেকে তোলা তুলতেই ব্যস্ত।' অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে পথ নামেন এলাকার মানুষ। দফায় দফায় পথ অবরোধ করে স্থানীয় রাধানগর মোড় এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পর বুধবার বিকেলে মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তখন ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।