নিজস্ব প্রতিবেদন: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। পুলিস ও প্রশাসনের তৎপরতায় সমস্যা মিটল। বাঁকুড়ায় একঘরে হয়ে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেল ২ পরিবার। গ্রামবাসীরা আশ্বাস দিলেন, ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত্র মাস ছয়েক আগে। বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালী পঞ্চায়েতের কেন্দবনি গ্রামের মনসা পুজোর আয়োজন করেন এক মহিলা। গ্রামের শেষপ্রান্তে নিজের বাড়িতেই পুজো করেছিলেন। কেন? ওই মহিলার দাবি, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মনসা পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গ্রামবাসীদের একাংশের কিন্তু প্রবল আপত্তি ছিল। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করেননি ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। 


আরও পড়ুন: Chinsurah: কার্তিক পুজোর খিচুড়ি ভোজের আসরে মদ্যপান, বচসায় গুলিবিদ্ধ যুবক


তারপর? অভিযোগ, ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারকে একঘরে করার নিদান দেন গ্রামের মোড়লরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে  বা যোগাযোগ রাখলে, ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই কেন্দবনি গ্রামেই পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন ওই মহিলার দুই ননদ।  তাঁরা কিন্তু গোপনে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। এই ঘটনা যখন জানাজানি হয়, তখন ওই দুই মহিলাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয় বলে অভিযোগ। টাকা দিতে দেরি হওয়ার জরিমানার অঙ্ক বেড়ে হয় পঁচিশ হাজার! আক্রান্তদে র দাবি, টাকা না পেয়ে তাঁদের ছাগল-মুরগী লুট করে নিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। সুবিচারের দাবিতে পুলিসের দ্বারস্থও হয়েছিলেন সামাজিক বয়কটের মুখে পড়া পরিবারের সদস্যরা।


আরও পড়ুন: Suicide: মোবাইল নিয়ে মা-বাবার বকুনি! বেহালা-গড়বেতায় অভিমানে আত্মঘাতী দুই স্কুল ছাত্রী


বৃহস্পতিবার এই খবর সম্প্রচারিত হয় জি ২৪ ঘণ্টায়। সেই খবরের জেরেই দ্রুত পদক্ষেপ করল পুলিস ও প্রশাসন। এদিন কেন্দবনি গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। সচেতনতার বার্তা দেন স্থানীয় মাঝি পরগনা মহলের সদস্যরাও। তাঁদের দাবি, কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষই আদিবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে।  আগামীদিনে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেদিকে নজর রাখা হবে। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)