নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হল নবদম্পতির দেহ। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে খুন নয় তো? মৃতদেহ দুটি পৌঁছানোর পর আরামবাগের বৃন্দারামপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ৯ ফ্রেরুয়ারি। সেদিন ডোমজুড়ে নারনা এলাকায় ধানক্ষেতে দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রাই। তাঁদের দাবি, দুটি ধারালো অস্ত্রের ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ওই দম্পতির পরিচয় কি? তাঁরা কি আত্মহত্যা করলেন নাকি খুন হয়ে গেলেন? পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দু 'জনেরই বাড়ি আরামবাগের বৃন্দারামপুর এলাকায়। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা মেয়েটির। তার সঙ্গে ছেলেটির সম্পর্ক মেনে নেননি পরিবারের লোকেরা। এরপর বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করে তারা। কিন্তু প্রথমে পরিচয় গোপন রাখলেও কয়েকদিন বিয়ের ছবি পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। আর তাতেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।


আরও পড়ুন: Pulwama হামলার দুবছর পার, নিজের গ্রামে অনন্য সম্মান পেলেন শহিদ বাবলু সাঁতরা


আরামবাগ থানার প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন মেয়েটির বাবা। পরে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা। এরপর যখন ফেসবুকে  বিয়ের ছবি দেখেন, তখন মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য ছেলেটির পরিবারের উপর চাপ দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এদিকে বিয়ের পর হাওড়ার ডোমজুড়ে চলে যান ওই দম্পতি। সেখানে চাষাবাদের কাজ করতেন ছেলেটি। সঙ্গে আরও অনেকে থাকতেন।  শেষপর্যন্ত ৯ ফ্রেরুয়ারি ডোমজুড়ের নারনা এলাকায় ধানক্ষেত থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন: হাসপাতালে বাবু মাস্টারকে দেখতে ভিড় BJP নেতাদের, প্রতিবাদ জানাতে থানা ঘেরাও


এদিন সন্ধেয় আরামবাগের বৃন্দারামপুরে দেহ পৌঁছানোর পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। অভিযোগ উঠেছে অনার কিলিং বা পরিবারের সম্মান রক্ষার্থের খুনের। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ছেলেটি ভিন্ন জাতের, তার উপর পারিবারিক অবস্থা ভালো নয়। সেকারণেই এই খুন। ছেলেটির পরিবারের দিকে আবার পাল্টা অভিযোগ তুলেছে মেয়েটির পরিবার। আসল ঘটনাটি কী? ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় পুলিস।