কোটায় আটক বাংলার পড়ুয়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন পার্থ
সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বাইরের রাজ্যে যারা আটকে পড়েছেন তাদের চিন্তার কারণ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানের কোটায় আটকেপড়া পড়ুয়াদের ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। টুইট করে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-'প্রচেষ্টা প্রকল্প'-এ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করল রাজ্য সরকার, বন্ধ ফর্ম বিলি
পার্থবাবু টুইট করেন, রাজস্থান ও ওখানকার কোটা থেকে বহু ছাত্রছাত্রীই আমাদের রাজ্যে ফিরতে চায়। এরা এই রাজ্যেরই বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে মানণীয় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্র ও ওই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে টুইট করে ইতিমধ্যই তা জানিয়েও দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা নিশ্চয় এ ব্যাপারে খবর রাখছেন। শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন ব্যাপারটির সমন্বয় রক্ষা করে চলেছেন।
লকডাউনের মধ্যে রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা বাংলার ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যের জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে আবেদন করল এসএফআই। সংগঠনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে এক চিঠিতে লেখা হয়েছে, সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনেকে রাজস্থানের কোটায় গিয়ে থাকেন। লকডাউনের ফলে সেখানে আটকে পড়েছেন কমপক্ষে ১০০০ পড়ুয়া। দৈন্দনিন সামগ্রী জোগাড় করতে তাদের কঠিন প্রতিকুলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের রাজ্যের পড়ুয়াদের কোটা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও আমাদের রাজ্যের পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তবে এসএফআইয়ের স্টেট সেক্রেটারি সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওইসব পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন তাদের ফেরানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-করোনা রেড জোনগুলিতে বলবত থাকবে লকডাউন, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত নমোর
এদিকে, রাজস্থানে আটকেপড়া পড়ুয়াদের ফেরানোর ব্যাপারে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বাইরের রাজ্যে যারা আটকে পড়েছেন তাদের চিন্তার কারণ নেই। বাংলার পড়ুয়াদের রাজস্থান থেকে ফেরানোর জন্য আজও কথা বলেছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, আপনি ঘোষণা করে দিন, ছাত্রছাত্রীরা মনে করলে রাজ্য আসতে পারে। আপনি শুধু বলুন কোটা থেকে আসা পড়ুয়াদের আপনার রাজ্যে প্রবেশে কোনও বাধা নেই। বাংলার সীমানা প্রর্যন্ত কোটার ছাত্রছাত্রীদের পাঠানোর ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে।