নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক বিকেল পাঁচটা । পূর্ব ঘোষণা মতোই পুরো কলকাতার ২৫ টি এলাকায় শুরু হয়ে গেল পুরোপুরি লকডাউন। লকডাউন তো একেবারে লকডাউন। চিহ্নিত ২৫টি এলাকাকে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় মোতায়েন স্থানীয় থানার পুলিস। পেট্রোলিং ডিউটির মাধ্যমে পুরো এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সেই রেলিং টপকে ভিতরের কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আর বাইরের কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনের আওতায় থাকা ২৫টি এলাকায় শুধু জরুরি পরিষেবা হিসেবে ফার্মেসি  খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি সব বন্ধ্। এমনকী কোন সবজি বা মুদিখানা দোকানও খোলা নেই। সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে “সুফল বাংলা” সবজি গাড়ি  ২৫টি লকডাউন এলাকায় ডোর টু ডোর যাবে। সেখান থেকে লকডাউন এলাকার বাসিন্দারা ন্যায্য মূল্যে সবজি পাবেন তবে কড়া নির্দেশ সেই সময় বাইরে আসতে হবে মাস্ক পরে। 


প্রতি এলাকায় একটা হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যদি কারোর মুদিখানা বা অন্য কোনও দরকার পরে তাহলে সেই নম্বরে ফোন করলে লোক এসে প্রয়োজন মিটিয়ে দিয়ে যাবে। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যাবে হোম ডেলিভারিতে। কোনও ভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার লকডাউন এলাকায় মাইকিং করে পুলিস এলাকাবাসীদের লকডাউন চলাকালীন কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে দেয়। পাশাপাশি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে দেয় পুলিস । আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়।    


বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার জেলা ভিত্তিক যে কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে তিন জেলায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা শূন্য। সেই জেলাগুলি হল কোচবিহার, পশ্চিম বর্ধমান এবং জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম। ফলে এদিনের তালিকা অনুযায়ী এই তিন জেলার কোথাও লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না।

আরও পড়ুন : সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা কীভাবে? ইউজিসিকে কড়া চিঠি রাজ্যের