`দিলীপ ঘোষও বাঁচাতে পারবে না`, টাকা বিলির অভিযোগে ধৃত বিজেপি নেতাকে হুমকি আইসির
`৩৮ বছর চাকরি করছি। ফালতু ঝামেলা করবে না। দিলীপ, প্রদীপ, সুদীপ, শাম্বা, রাম্বা, জাম্বা কেউ বাঁচাতে পারবে না।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের মুখে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের বোলপুরে। স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ তুলল তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। এই ঘটনাকে ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়াল বোলপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিকে, পুলিসের বিরুদ্ধে আবার ওই বিজেপি নেতাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তৃতীয় দফার ভোটে আগামী সোমবার, ২৯ এপ্রিল, বোলপুরে ভোটগ্রহণ। এদিকে ভোটের মুখে আজ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা অভিযোগ করেন নরেশ ঘোষ নামে ওই বিজেপি নেতা বাড়ি বাড়ি টাকা বিলি করছিল। টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপি নেতা নরেশ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি। কথা কাটাকাটির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই ঝামেলার খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বোলপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী।
এরপর অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই, পরিস্থিতি অন্য মাত্রা নেয়। নরেশ ঘোষ নামে ওই বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে পুলিস ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতা নরেশ ঘোষ দাবি করেন তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে জোরজবরদস্তি থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী। নরেশ ঘোষকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে দেখা যায় আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তীকে।
চোখ রাঙিয়ে আঙুল উঁচিয়ে আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী নরেশ ঘোষকে বলেন, এমন অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেবেন যে দিলীপ ঘোষও তাঁকে বাঁচাতে পারবেন। হুমকির সুরে আইসিকে বলতে শোনা যায়, "তোমার কাছে টাকা পেয়েছে আমার অফিসাররা, আবার তুমি আমায় মিথ্যুক বলছ? তুমি কোন দল করছ, আমার দেখার দরকার নেই। তোমার কাছে কী কী পাওয়া গিয়েছে, এমন দেখিয়ে দেব, তোমার দিলীপ ঘোষও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।"
আরও পড়ুন, পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠকে রিগিংয়ের ছক! মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুকুল
এখানেই না থেমে আইসি আরও বলতে থাকেন, "৩৮ বছর চাকরি করছি। ইউনিফর্মটার দাম আছে। রাজনীতি করছ, রাজনীতির মতো করবে। ফালতু ঝামেলা করবে না। দিলীপ, প্রদীপ, সুদীপ, শাম্বা, রাম্বা, জাম্বা কেউ বাঁচাতে পারবে না। তোমার কাছ থেকে মদও পাওয়া যায়নি, গাঁজাও পাওয়া যায়নি তো? ঠিক আছে। আমার অফিসারকে মেরেছ বলে তোমায় আমি অ্যারেস্ট করলাম।" এরপরই কার্যত টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নরেশ ঘোষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস।