নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্রত মন্ডল ও জিতেন তিওয়ারিকে শোকজ করল কমিশন। "৫ হাজারের বেশি লিড দিতে পারলেই, এক কোটি টাকার সরকারি কাজের বরাত পাওয়া যাবে।" এই মন্তব্যের জন্য আসানসোল মেয়র জিতেন তিওয়ারিকে শোকজ করল কমিশন। অন্যদিকে, 'চোখ গেলে দেওয়ার' মন্তব্যের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকেও শোকজ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশন রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও জিতেন তিওয়ারি- তৃণমূলের এই ৪ নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ করে বিজেপি। তৃণমূলের এই ৪ নেতাকে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। তাঁদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে দাবি জানায় তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে এরপরই অনুব্রত মণ্ডল ও জিতেন তিওয়ারিকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।


প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই পাঁচন দাওয়াইয়ের কথা বলে আসছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাঁচনের পাশাপাশি 'নকুলদানা জল' খাওয়ানোর কথা বলেও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী গেলে, তাদেরকেও 'নকুলদানা জল' খাওয়ানোর কথা বলেছেন। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বরাবারই শিরোনামে থাকেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।


আরও পড়ুন, উপসর্গ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো, কিন্তু মৃত্যু ডেকে আনতে পারে অ্যাডিনো ভাইরাস! আক্রান্ত কয়েকশো শিশু


অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই বিতর্কিত, উস্কানিমূলক মন্তব্যের তালিকায় এবার নয়া সংযোজন আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারি। মঙ্গলবার কর্মিসভায় দলীয় কর্মীদের তিনি টোপ দেন, ''ওয়ার্ড থেকে ৫ হাজারের বেশি লিড দিতে পারলেই, এক কোটি টাকার সরকারি কাজের বরাত পাওয়া যাবে।'' আরও বলেন, "ফাস্ট, সেকেন্ড, থার্ড- যেরকম লিড, সেই অনুযায়ী থাকবে পুরস্কার।"


বলেন, "৩ হাজারের বেশি লিড হলে ৫০ লাখ টাকার সরকারি কাজের বরাত দেওয়া হবে। ৩০ লাখ টাকার সরকারি কাজের বরাত দেওয়া হবে ২ হাজারের বেশি লিড হলে।" পাশাপাশি লিড দিতে না পারলে শাস্তির ব্যবস্থাও থাকছে বলে হুঁশিয়ারি দেন আসানসোল মেয়র। বলেন, "যে ওয়ার্ডে  লিড মিলবে না, সেখানকার কাউন্সিলরকে ইস্তফা দিতে হবে।" জিতেন তিওয়ারির এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক ছড়ায়।


আরও পড়ুন, 'ওস্তাদের মার শেষ রাতে!' প্রার্থী তালিকায় 'বড়সড় চমকের' ইঙ্গিত দিলীপের


অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিরোধীদের 'করলার জুস' খাওয়ানোর কথা বলে বিতর্ক জড়ান। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ''কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের পর থাকবে না, আমরা থাকব সারা বছর। ভোটটা জোড়া ফুলেই দেবেন।''