মৌপিয়া নন্দী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে পাহাড়ের রাজনীতিতে হঠাত্ হাওয়া বদল! অজ্ঞাতবাস থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা রোশন গিরি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানালেন, পাহাড় ও তরাইয়ের স্বার্থে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছে তাদের দল ও জিএনএলএফ। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে জিএনএলএফের 'মধুর' সম্পর্ক কারও অজানা নয়। লোকসভা ভোটের আগে সেই দুই দলের সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে জল্পনা। তাহলে কি জিএনএলএফ-কে সামনে পাহাড়ের ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন বিমল গুরুং? জিএনএলএফ সভাপতি সুবাসপুত্র মন ঘিসিংয়ের মতো কেউ বিজেপির প্রার্থী হতে পারে বলে জল্পনা।      


এসআই অমিতাভ মালিকের খুন-সহ একাধিক অভিযোগে ফেরার বিমল গুরং ও রোশন গিরি। লোকসভা ভোটে পাহাড়ে ফিরতে মরিয়া গুরুং ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন। শীর্ষ আদালতের কাছে রক্ষাকবচ চেয়েছেন গুরুং-রোশনরা। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে লিখিত উত্তর চেয়েছে। এগিয়ে আসছে মনোনয়নপত্র পেশের সময়। গুরুং বিলক্ষণ জানেন, পাহাড়ে ঘুরে দাঁড়াতে লোকসভা ভোটই তাঁর কাছে শেষ সুযোগ। তাই একদিকে আদালত, আর এক দিকে বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি গুরুংপন্থীদের। 



২০১৪ সালে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল জিএনএলএফ। ২০১৭ সালে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন চলাকালীন কাছাকাছি আছে মোর্চা ও জিএনএলএফ। যদিও সমণ্বয়ের মূল কারিগর ছিলেন বিনয় তামাং। গুরুংয়ের সঙ্গে কখনই সুসম্পর্ক ছিল না জিএনএলএফের। কয়েকদিন আগে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে অমর সিং রাইয়ের। জোড়াফুল প্রতীকে পাহাড়ে লড়বেন মোর্চা নেতা। বলে রাখি, মোর্চার রাশ বর্তমানে বিনয় তামাং ও অনীত থাপার হাতে। তাঁরা আগেই তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। অমর সিং রাইয়ের নাম জিএনএলএফের পছন্দ হয়নি, তা বুঝিয়ে দেয় তারা। 


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ফোনে জিএনএলএফ নেতা নীরজ জিম্বা জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। দিল্লিতে গুরুংপন্থীদের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক মঙ্গলবার। তাহলে কি জিএনএলএফ-কে সামনে রেখেই পাহাড়ের আসন দখলে রাখতে কৌশলী চাল বিজেপির? সূত্রের খবর, মন ঘিসিং হতে পারেন এনডিএ জোটের প্রার্থী।    


আরও পড়ুন-সীতারামের চেষ্টা জলে, বাংলায় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা কংগ্রেসের


দিন কয়েক আগেই দিলীপ ঘোষ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, পাহাড়ে ভোটের আগে ফিরতে পারেন বিমল গুরুং। ফলে মোর্চার ঘোষণায় দুইয়ে-দুইয়ে চার করছে রাজনৈতিক মহল।