নিজস্ব প্রতিবেদন :  ফের শিরোনামে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। গণনা কেন্দ্রের সামনে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস তৈরি নিয়ে পুলিস সুপারের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে পুলিস সুপারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কী নিয়ে বচসা?
অভিযোগ, ভোটগণনা কেন্দ্রের বাইরেই ক্যাম্প অফিস তৈরি করছিল তৃণমূল। এদিকে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ক্যাম্প অফিস করা যাবে না। তাই ক্যাম্প অফিসটি খুলে ফেলতে বলেন কোচবিহার পুলিস সুপার অমিত সিং। কোনওভাবেই ওই জায়গায় ক্যাম্প করা যাবে না বলে, সাফ জানিয়ে দেন পুলিস সুপার। আর তাতেই চটে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।


পুলিশ সুপারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। রীতিমতো হুমকি দিতে দেখা যায় তাঁকে। হুঁশিয়ারির সুরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, "নির্বাচনের পরে আমরা-ই থাকব।" রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, ওই জায়গায় বিগত ২০ বছর ধরে ক্যাম্প অফিস করে আসছেন তাঁরা। কোনওবারই কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন পুলিস সুপার এসে ওই ক্যাম্প অফিস তুলে দিতে বলছেন। পুলিস ইচ্ছাকৃত এটা করছে বলে তোপ দেগেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। পুলিস সুপার অমিত সিং পাল্টা বলেন, "নির্বাচনের রুল ফলো করছি। আমার ব্যক্তিগত কোনও ইস্যু নয় এটা।" কোনওভাবেই যে গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ক্যাম্প অফিস করতে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি।


আরও পড়ুন, আবির বাজারেও তুঙ্গে সবুজ-গেরুয়ার লড়াই, পাল্লা ঝুঁকে কোনদিকে?


 এখন গণনাকেন্দ্রের বাইরে ১০০ মিটার দূরত্ব কতটা হচ্ছে, জেলাশাসককে তা জানাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, যে জায়গায় ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে, সেই জায়গাটি গণনাকেন্দ্রের বাইরে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে। সামগ্রিক ঘটনায় ইতিমধ্যেই কমিশনে রিপোর্ট জমা পড়েছে। কমিশনের নির্দেশ এলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।