নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমে প্রেমের ফাঁদ। তারপর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল। অবশেষে চাপ দিয়ে জোর করে বিয়ে। তারপরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হয় পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। শেষে খুন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায়। শ্বাসরোধ করে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালনার বারুইপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবতী। বছর দুয়েক আগে কালনার চাড়াবাগানের বাসিন্দা সঞ্জিত পোদ্দারের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সঞ্জিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ওই যুবতীর পরিবার। তারা এই সম্পর্কে আপত্তি জানায়। অভিযোগ, এরপরই ওই যুবতীকে ব্ল্যাকমেইলিং করা শুরু করে সঞ্জিত।


আরও পড়ুন, নববর্ষের সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে 'কেঁদে ভাসালেন' তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি


সম্পর্কের 'অছিলায়' ওই যুবতীর সঙ্গে বেশকিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তুলেছিল সঞ্জিত। অভিযোগ, বিয়ে না করলে সেইসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে সঞ্জিত। বাধ্য হয়ে বাড়ির আপত্তি সত্ত্বেও চাপে পড়ে সঞ্জিতকে বিয়ে করেন ওই যুবতী।


কিন্তু বিয়ের পরই সঞ্জিত ধরেন ভিন্ন মূর্তি। প্রথম কয়েক মাস মোটের উপর ভালো কাটলেও, তারপর থেকেই শুরু হয় পণের জন্য অত্যাচার। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য ওই যুবতীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে সঞ্জিত ও তার বাড়ির লোকেরা।


আরও পড়ুন, বিয়ের প্রস্তাবে 'না', ঘুমন্ত শ্যালিকার শরীরে অ্যাসিড ঢাললেন জামাইবাবু


এভাবেই বিয়ের ২ বছর কেটে যায়। ইতিমধ্যে একটি সন্তানেরও জন্ম দেন ওই যুবতী। কিন্তু, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের লালসা ও অত্যাচারের মাত্রাও দিনে দিনে বাড়তে থাকে। ফ্রিজ, এসি, গয়না প্রভৃতি নিত্যনতুন হরেক সামগ্রীর দাবি, আর তা দিতে না পারলেই শারীরিক নির্যাতন।


অভিযোগ, এরপরই শনিবার ওই যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সঞ্জিত ও তার বাড়ির লোকেরা। যদিও তাদের দাবি, ওই যুবতি আত্মহত্যা করেছে। তারাই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবতীকে খুনই করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'শারীরিক চাহিদা' মেটাতে স্বামীকে ছেড়ে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে সংসার গৃহবধূর


ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই যুবতীর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে, ওই যুবতীর দেহ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকেই পলাতক সঞ্জিত ও তার বাড়ির লোকেরা।