প্রদ্যুৎ দাস: 'যেও না নবমীনিশি' বলে বাকি বাংলা আকুল হলেও জলপাইগুড়ির এই অংশের মানুষজন সম্ভবত খুব একটা শূন্যতা অনুভব করেন না। কারণ, দুর্গাপুজোর পরেও দুর্গাপুজো শুরু হয় এখানে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের কথা বলা হচ্ছে। এখানে বড় ভান্ডানিতে একাদশী তিথিতে পুনরায় উমা পূজিতা হন বনদুর্গা বা মা ভান্ডানি রূপে। কথিত আছে, মা দুর্গা সপরিবারে কৈলাস যাত্রার সময়ে এই স্থানে বিশ্রামের জন্য খানিক থেমেছিলেন। সেই থেকে বহুকাল ধরে এখানে দশমীর পরের দিনে উমার আরেক রূপের পুজো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: দশমীর মিষ্টি নিয়ে মিষ্টি আবেগ এখনও বেঁচে! ওইটুকুই বাঙালিয়ানা...


কতদিন ধরে এরকম চলছে?


মোটামুটি পাঁচশো বছর ধরে এরকম চলছে এখানে। প্রায় পাঁচশো বছর ধরে দশমীর পরের দিনে এই গ্রামের মন্দিরে দু'হাত বিশিষ্ট উমার পুজো হয়ে আসছে। পুজো হয়ে আসছে মা দুর্গার আরেক রূপ মা ভান্ডানির। কেউ কেউ মা ভান্ডানির বদলে বলেন বনদুর্গা। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের বিভিন্ন জনপদের একটি বড় অংশ এই মা ভান্ডানির তথা বনদুর্গার পুজো দিয়ে আসছেন।



মা ভান্ডানি দুর্গার অপর একটি রূপ বলেই প্রচলিত এখানে। লোকাচার, বাঘের পিঠে বসে থাকেন দেবী। শিলিগুড়ি, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলার মানুষজনের কাছে খুবই জাগ্রত এই দেবী। ব্যাঘ্রবাহিনী মা ভান্ডানির উপর গভীর বিশ্বাস এঁদের।


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: টাকির ইছামতীতে বিসর্জন হল, তবে মিলল কি দুই বাংলার হৃদয়?


আজ, বুধবার তাই সকাল থেকেই তিস্তা পাড়ের বার্নিশ গ্রামমুখী অসংখ্য মানুষ। এখানে আসবে কাতারে কাতারে ভক্ত। প্রাচীন প্রথা মেনে মা ভান্ডানিকে উৎসর্গ করা হয় ছাগ, পায়রা। উমাবিদায়ের দুঃখ যেন অনেকটাই চাপা পড়ে এই বনদুর্গা বা মা ভান্ডানির পুজোয়। এই পুজোকে ঘিরে নতুন করে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)