Saayoni On Mahua Moitra: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ঠিক নয়, মহুয়ার `কালী` মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন সায়নী
মহুয়ার ওই মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ৫৮টি এফআইআর হয়েছে
চম্পক দত্ত: কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মহুয়ার ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মন্তব্যের নিন্দাও করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।
বুধবার মেদিনীপুর শহরে একুশে জুলাইয়ের এক প্রস্তুতিসভায় দলের কর্মীদের বাকসংযমের পরামর্শ দেন সায়নী ঘোষ। মহুয়া মিত্রের মন্তব্য প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, আমাদের সাংসদ একটা কথা বলেছেন। তাতে বিরোধী দলনেতাও একটা কথা বলেছেন। এনিয়ে কিছু বলতে আমি পারি না। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কথা বলা স্বাধীনতা থাকলেও মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে যেন আঘাত না করি। কাউকে কষ্ট না দিই। আমাদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করা উচিত।
এনিয়ে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাংসদ হিসেবে ওঁর কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা অনুচিত। সাংসদ হিসেবে তাঁর আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল। দল যে অনুমোদন করে না তা ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী বলেছিলেন মহুয়া মৈত্র? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে মহুয়া বলেন, কালী তাঁর কাছে এমন একজন দেবী যিনি মাংস খান, মদ গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালী ধুমপান করছেন বলে দেখানো হয়েছে। এনিয়েই মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। এনিয়ে মহুয়া আরও বলেন, সিকিমে গেলে দেখবেন কালীকে মানুষ প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন। আবার উত্তরপ্রদেশে আপনি যদি ওই কাজ করতে যান তাহলে আপানার বিরুদ্ধে ধর্ম বিরোধিতার অভিযোগ উঠবে।
এদিকে, মহুয়া ওই মন্তব্য করার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি টুইট করে ওই মন্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করা হয়। ওই টুইটে লেখা হয়, মহুয়া মৈত্র দেবী কালী সম্পর্কে যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত। দল তাঁর ওই মতামতকে সমর্থন করে না। তৃণমূল কংগ্রেস ওই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে। দলের ওই টুইটের পরই তৃণমূলের টুইটার অ্যাকাউন্টকে আনফলো করেন মহুয়া মৈত্র।
এদিকে, মহুয়ার ওই মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ৫৮টি এফআইআর হয়েছে। শুভেন্দু আধিকারী আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওইসব এফআইআর নিয়ে পুলিস কী করে দেখব। ১০ দিন সময় দিলাম। তারপর আদালতে যাব।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে প্রদ্যোত্ স্মৃতিসদনে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ যেখানে মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুবকর্মীরা হাজির হয়েছিলেন ৷ সভাতে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি সহ বেশিরভাগ তৃণমূলের বিধায়ক ও জন প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ওই সভাতে প্রধান বক্তা ছিলেন সায়নী ঘোষ ৷ সভা থেকে শহিদ দিবসের তাত্পর্য বুঝিয়ে সভাতে সকলের উপস্থিতির জন্য অনুরোধ করেছেন সায়নী ৷পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে কোন পথে প্রচার করতে হবে তাও কর্মীদের বুঝিয়ে দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন-দেবত্র জমি দখলের চেষ্টা, দিনেদুপুরে আসানসোলে শুটআউট