নিজস্ব প্রতিবেদন: মাদক পাচারকারীদের চিনিয়ে দিতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল কালিয়াচকের ১৬ বছরের কিশোরের দেহ। শুক্রবার সন্ধের ওই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজীব সেখ নামে ওই কিশোরকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আজ তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে পুলিসি অভিযান নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজীব সেখের কাছে খবর ছিল মাদক পাচারকারীরা জড়ো হচ্ছে কালিয়াচকের(Kaliachak) বালিয়াডাঙ্গায়। সেই খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে পুলিস। লেনদেন চালাকালীন ঘিরে ফেলা হয় দুষ্কৃতীদের। অভিযানে পুলিসের সঙ্গে ছিল ১৬ বছরের রাজীব। আততায়ীদের ছোড়া গুলি এসে লাগে রাজীবের তলপেটে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ভর্তি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভীরার বাসিন্দা রাজীবের।


আরও পড়ুন-পাল্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত 'বেসুরো' নেতাদের? দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মোদীর মন্ত্রীর


মৃত রাজীব সেখ পুলিসের সোর্স হিসাবে কাজ করত বলে জানিয়েছেন মালদহের(Malda) পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি। কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর এলাকায় মাদক কারবারীদের চিনত এই রাজীব। শুক্রবারও পুলিসের অভিযানে মাদক কারবারীদের চিনিয়ে দিতে সে এলাকায় গিয়েছিল।


ওই ঘটানায় ধৃত এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসমাউল সেখ। সে-ই গুলি চালিয়েছে বলে দাবি পুলিসের। আসমাউলের বাড়ি কালিয়াচক কলেজ মোড়ে। কিন্তু পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় অপর দুষ্কৃতী শাহাবুদ্দিন সেখ। একটি সেভেন এমএম পিস্তিল সহ উদ্ধার হয় ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার(Brown suger)। 


পুলিসি অভিযানে এমন নিরাপত্তাহীনতা কেন? সোর্সে রাজীবকে নিয়ে কেন ঘটনাস্থলে গেল পুলিস? তাকে দূরে রেখে কি অভিযান চালাতে পারতো না পুলিস? এনিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)