রণজয় সিংহ: স্ত্রীকে খুনের অপরাধে মালদহের এক যুবককে যাবজ্জীবন সাজা দিল মালদহের আদালত। দোষী সাব্যস্ত ওই যুবকের ৬ বছরের শিশু সন্তানের বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই ওই সাজা দিল আদালত। গভীর রাতে মাকে খুনের কথা আদালতে জানায় ওই শিশু। পাশাপাশি আরও ১৬ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অলক্ষ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠবে


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযাগ ছিল, দিলীপের সঙ্গে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁডিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাতেই অত্যাচার বাড়তে থাকে ওই গৃহবধূর উপরে। শেষপর্যন্ত ১০ আগস্ট গভীর রাতে শোয়ার ঘরের মধ্যেই শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সুপ্রিয়া রায়কে খুন করেন দিলীপ রায়। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয় এলাকা।


মৃত সুপ্রিয়া রায়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানা এলাকায়। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়েই সুপ্রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন চলে আসেন মানিকচকে। তারা এসে দেখেন বাড়িতে পড়ে রয়েছে সুপ্রিয়ার মৃতদেহ। এরপরই সুপ্রিয়ার বাবা মানিকচক থানায় দিলীপের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ রায়-সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। মালদহ জেলা আদালতে শুরু হয় মামলা।


মামলা শুরুর পর টানা ৮ বছর ধরে চলে শুনানি। অবশেষে একাধিক সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দিলীর রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্বিধির ৪৯৮এ, ৩০২, ৩০৪বি ও ৩৪ ধারায় মামলা হয়। দণ্ডবিধির ৪৯৮ও ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দিলীপকে ৩ বছরের জেল ও জরিমানা ধার্য করে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস জেলের কথা শোনায় আদালত। অন্যদিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার চাকা জরিমা নার নির্দেশ দেয় আদালত। 


সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুণ্ডু বলেন, দিলীপ রায়ের ৬ বছরের সন্তানের বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অবশেষে যাবাজ্জীবন সাজা ঘোষণা হল। ওই শিশু ছাড়াও আরও ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তার পরেই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)