রণজয় সিংহ: জঞ্জাল কর চালু করল পুরাতন মালদা পুরসভা। পুর বাসিন্দাদের এবার থেকে জঞ্জালের জন্য প্রতিদিন এক টাকা করে শুল্ক বসাতে চলেছে পুরাতন মালদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে পুরাতন মালদা পুরসভার পুর নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন মালদা পুরসভার পুরপতি কার্তিক ঘোষ জানান, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশ মতোই বাড়ির জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে দৈনিক এক টাকা করে ব্যবহারিক শুল্ক দিতে হবে পুর নাগরিকদের। যদিও পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন, কোনওমতেই তারা জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে কোন কর দেবেন না। প্রয়োজনে তারা বাড়ির নোংরা আবর্জনা বাড়িতে জমা রাখবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Howrah: ফেরার দিন থেকেই সুইচ অফ মোবাইল! ট্রেনে তবলা বাদকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য...


সাফাই কর্মীরা যদি নোংরা আবর্জনা না নিয়ে যায়। তাহলে তারা সেই নোংরা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে জঞ্জাল করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। জঞ্জাল কর না দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামীদিনে পুর নাগরিকরা একত্রিত হয়ে পুরাতন মালদা পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন। যদিও জঞ্জাল কর দেওয়ার বিষয় বিরোধীরা বলছেন, জঞ্জাল কর দেওয়ার নামে পুরসভার যত ছোট বড় মাঝারি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা থেকে কাউন্সিলরদের পকেটে থেকে টাকা ঢুকবে। আগামীদিনে পুর নাগরিকদের নিয়ে জঞ্জাল করের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি আন্দোলনেও নামবে।


পুরাতন মালদা পুরসভা সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি বাড়ির হোল্ডিং নম্বর এবং পরিবার অনুযায়ী এই শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। দৈনিক এক টাকা হিসেবে অনুযায়ী মাসে ৩০ টাকা করে ব্যবহারিক শুল্ক দিতে হবে। এক্ষেত্রে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য নিজেদের এলাকা অনেকটাই পরিছন্ন থাকবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এক টাকা পিছু জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে এই ব্যবহারিক শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি গলির পরিবেশ পরিছন্নতা ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ আরো জানান, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশ মতোই জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে এই সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই পরিষেবা চালু হবে।


প্রতিটি ওয়ার্ডে যখন নির্মল সাথী বন্ধুরা, জঞ্জাল ফেলার গাড়ি বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাবেন। সেই গাড়িতেই নাগরিকদের জঞ্জাল ফেলতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের তাদের বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী জঞ্জাল ফেলার জন্য দিনে এক টাকা হিসেব অনুযায়ী মাসে ৩০ টাকা করে ব্যবহারিক শুল্ক দিতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই শহরকে পরিষ্কার রাখা। বিরোধীদের কাজ হচ্ছে বিরোধিতা করা। পশ্চিমবাংলায় যে কোনও বিষয়ের উন্নয়ন যাতে আটকে যায় সাধারণ মানুষ যাদের সরকারি পরিষেবা না পায়। সেটাই বিরোধীতা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকার যে বকেয়া টাকা পায়। সে টাকা এখন পর্যন্ত দিচ্ছে না। যা উন্নয়ন তা আমাদের সরকারই করছে।


মালদা উত্তর বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান, তার মানে পুরসভা স্বীকার করে নিচ্ছে যে তারা শহরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে না। পুরসভার কাজই হল শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখা। কিন্তু সেখানে যদি আবার জঞ্জাল কর দিতে হয় পুরো নাগরিকদেরকে নাবিশ্বাস্য হয়ে উঠবে। একেতেই দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে বাড়ছে। পুরসভার নামে তৃণমূল কংগ্রেস এই জঞ্জাল করে নামে নাগরিকদের অর্থ লুট করার পরিকল্পনা করেছে। আগামীদিনে এই জঞ্জাল করের বিরুদ্ধে পুর নাগরিকদের একত্রিত করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি পুরাতন মালদা পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।



আরও পড়ুন, Bengal Weather Update: ১২ ডিগ্রির ঘরে ঘুরছে তাপমাত্রা! সপ্তাহশেষে কি আরও নামবে পারদ? এবার রাজ্য জুড়েই কড়া শীত...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)