রণজয় সিংহ: হোটেলের আড়ালে চলছিল দেহ ব্যবসা। রমরমিয়ে বসছিল মধুচক্রের আসর। রাত বাড়তেই ভিড় জমাতো বহিরাগত যুবক-যুবতীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারপর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই তুলকালাম কান্ড। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিস। নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত সাব ইন্সপেক্টর। ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় হোটেলে। গ্রেফতার চার যুবক সহ এক মহিলা উদ্ধার হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Raped In Indore: নক্ক্যারজনক! বেদম মার, নগ্ন নাচে বাধ্য করে ধর্ষণ যুবতীকে....


জানা গিয়েছে, হোটেলের মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ভাসুর এবং এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাই শুরু হয়েছেে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে থাকায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালাচ্ছে অভিযোগ তৃণমূলের কংগ্রেসের। যদিও কংগ্রেসের দাবি, একমাস আগেই হোটেল ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যারা ভাড়া নিয়ে ছিল তারা তৃণমূল কংগ্রেস করে। তারাই এই ষড়যন্ত্র করেছে।


মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় তেঁতুলবাড়ির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেঁতুল বাড়িতে একটি হোটেল রয়েছে। যে হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মুসলিমের ছেলে নুর আলম। যিনি আবার কংগ্রেস-সিপিএম জোট পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। ওই হোটেলে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাহির থেকে যুবক-যুবতীরা আসত।


পার্শ্ববর্তী স্থানীয় দোকানদারদের সন্দেহ হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে পুনরায় যুবক যুবতীরা আসে। তারপরে স্থানীয়রা চার যুবক এবং এক মহিলাকে আটক করে। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিস আসতেই ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে সাব-ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। আইসি মনোজিৎ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।


পুলিস সূত্রে খবর, মোট ৪জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিস। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে। এই হোটেল প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের। তারা প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ চালাচ্ছিল।


যদিও কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের দাবি, সম্প্রতি তারা এই হোটেল ভাড়া দিয়েছিলেন। সমস্যা মনে হওয়ায় ভাড়া থেকে উঠেও যেতে বলে ছিলেন। তার মাঝে এই ঘটনা। আর যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা তৃণমূল কংগ্রেস করে। তারা এই ষড়যন্ত্র করেছে। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেরাই হোটেল ভাংচুর করেছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস।



আরও পড়ুন, Birupaksha Biswas: আটকেছেন নিজের বদলি! কত বড় 'হনু' বিরুপাক্ষ? ক্ষুব্ধ বর্ধমান মেডিক্যালের ডাক্তাররা..


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)