নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের সকল কৃষককে শস্যবিমা দেবে রাজ্য সরকার। আজ একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "১০০ শতাংশ কৃষককে ক্রপ ইনসিওরেন্স দেবে রাজ্য।" শুধু কৃষকদের শস্যবিমা দেওয়ার কথা ঘোষণা-ই নয়। এদিন রাজ্যের তাঁতিদের জন্য একটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩ বছরের জন্য জামাকাপড় ও বিছানার চাদর তাঁতিদের থেকে কেনা হবে। যেগুলো বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ত্রাণবণ্টনে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে 'কৃষকবন্ধু' প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের এককালীন ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় অনেকেই মনে করছেন এভাবে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন তৃণমূল নেত্রী। একদিকে রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষক, তাঁতিদের পাশে দাঁড়াল। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারের পথে যেন এভাবেই ইট পাতলেন তৃণমূল নেত্রী। একুশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। শুরু হয়েছে দিদিকে বলো কর্মসূচি। বুথ স্তর পর্যন্ত জনসংযোগ বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচিতে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের কাজ, প্রকল্প তুলে ধরার প্রয়াস।


আরও পড়ুন, উপনির্বাচনের দিন বির্তকে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ, ফোন করে সতর্ক করল কমিশন  


আরও পড়ুন, বিকালে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি, বিতর্কের মধ্যেই ফুরফুরে মেজাজে দিলীপ


অফিসে বসে মনিটরিং না করে, বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়ি বাড়ি যেতে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কে কেমন পাচ্ছেন, ঘুরে ঘুরে তা দেখে রিপোর্ট তৈরি করতে। সেই রিপোর্ট বিডিওরা দেবেন জেলাশাসককে। জেলাশাসক তারপর সেই রিপোর্ট নবান্নে পাঠাবেন। দলীয় কর্মসূচি থেকে প্রশাসনিক স্তর, সব ক্ষেত্রেই একটাই টার্গেট জনসংযোগ বাড়ানো। এভাবেই যেন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহলের মত এমনই।