নিজস্ব প্রতিবেদন : এনআরসি, সিএএ বিরোধিতায় এবার উত্তরবঙ্গে মিছিলের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলকাতায় সিমলা স্ট্রিট থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত চতুর্থদিনের পদযাত্রায় সামিল হন তৃণমূল নেত্রী। পদযাত্রার শেষে বেলেঘাটার সভামঞ্চ থেকে এবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। NRC ও CAA-র বিরোধিতায় এবার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে মিছিল করবেন তৃণমূল নেত্রী। বছরের শেষ ৩দিন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, উত্তরবঙ্গে মিছিল করবেন মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, গতকাল জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে কলকাতায় অভিনন্দন যাত্রার পর, আজ NRC ও CAA-র সমর্থনে শিলিগুড়িতে মিছিল করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এবার তাই উত্তরবঙ্গে মিছিলের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন উত্তরবঙ্গে বহু উদ্বাস্তু রয়েছেন। রয়েছে কামতাপুরী, রাজবংশী জনগোষ্ঠীও। সেক্ষেত্রে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে অন্যতম ইস্যু হতে পারে নাগরিকত্ব। আর তাই তৃণমূল-বিজেপি, দু'পক্ষই জনসমর্থন আদায়ে মরিয়া।


এদিন বেলেঘাটার সভায় তৃণমূল নেত্রীর কথাতেই মেলে তার ইঙ্গিত। মমতা বলেন, "অনেক উদ্বাস্তু অনেক জায়গায়  আছে। আমরা সবাইকে চিহ্নিত করেছি। উদ্বাস্তু কলোনিকে চিহ্নিত করে দিয়েছি। বড় মাকে কে দেখেছে গত ৩০ বছর? সবাই নাগরিক এখানে। কামতাপুরী, রাজবংশী সবাই নাগরিক। রাজস্থান, বিহারের হলেও সবাই নাগরিক।" পাশাপাশি, আজকের সভা থেকে বার বার করেই জে পি নাড্ডাকে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, "বাবুরা হাঁটতে পারে না। আমার সাথে হাঁটো দেখি, কার কত ক্ষমতা? মমতা  ব্যানার্জি ১০০০ বার মিছিল করবে।"


আরও পড়ুন, মঞ্চে পড়ে ফাঁকা চেয়ার, শেষপর্যন্ত রাজ্যপালকে ছাড়াই সমাবর্তন উৎসব যাদবপুরে


শুধু তাই নয়। আরও বলেন, "বাংলায় আইনের শাসন নেই বলছেন? কে কটা গুলি চলেছে এখানে? দিল্লি, লখনউ সব জায়গায় গুলি চলেছে। উত্তরপ্রদেশে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে মিটিং করে চলে গেল। অথচ আমাদের ঢুকতে দিল না! সব রাজ্যে মিটিং, প্রতিবাদ হচ্ছে। তাহলে কোথায় আইনের শাসন নেই?" সভা থেকে বিজেপি সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।