নিজস্ব প্রতিবেদন : কালিয়াগঞ্জের পর বুনিয়াদপুরের সভা থেকেও দিল্লিতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বুনিয়াদপুরের সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন, "দিল্লিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কারোর করোনায় মৃত্যু হয়নি। কারোর ডেঙ্গিতেও মৃত্যু হয়নি। দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতেই করোনা-করোনা করা হচ্ছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা আরও বলেন, "দিল্লিতে মৃতদেহের পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে। এখনও ৭০০ মানুষ নিখোঁজ। অনেক মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।" দিল্লি হিংসায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা হিন্দু না মুসলিম, এদিন কেন্দ্রের কাছে সেই জবাব তলব করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "যারা মারা গিয়েছে, তারা হিন্দু না মুসলিম, জবাব দিতে হবে ওদেরকে।"  দিল্লির মত ছোট জায়গায় যারা আইন-শৃঙ্খলা সামলাতে পারেন না, তাদের বাংলা মিয়ে কথা বলা সাজে না বলেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বুনিয়াদপুরের সভামঞ্চ থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের মানুষকে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। অযথা আতঙ্ক ছড়াতে নিষেধ করেন। করোনা আতঙ্ক শুধুমাত্র বিজেপি সরকারের নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলে তোপ দাগেন তিনি। একইসঙ্গে দ্রুত যাতে এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক যাতে বের হয়, সেই আশাপ্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন হোল মিলন উৎসবে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। একইসঙ্গে দেশবাসীকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোলির জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা বলেন।


আরও পড়ুন, মার্বেল মিস্ত্রির সঙ্গে সম্পর্ক, বিয়ের কথা চলার মাঝেই এ কাজ করে বসলেন উচ্চশিক্ষিতা যুবতী!


আরও পড়ুন, করোনাভাইরাস আতঙ্ক শান্তিনিকেতনে, বিশ্বভারতীতে বাতিল চিনা পড়ুয়াদের অনুষ্ঠান


অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ভারতে মোট ২৫ জন এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় ৬ জনের শরীরে COVID-19 ভাইরাস মিলেছে। দিল্লি, তেলেঙ্গানা ও কেরলে একজন করে ব্যক্তির শরীরে মিলেছে জীবাণু। অন্যদিকে রাজস্থানের জয়পুরে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। যারা সবাই ইতালি থেকে আসা পর্যটক।