নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন? বিজেপির একাংশ বলছে, রাজ্যে আইনের শাসন ফেরাতে ৩৫৬ ধারা জারির বিকল্প নেই। আবার গেরুয়া শিবিরেরই অন্য অংশের দাবি, সাংবিধানিক পথে উত্খাত করা হবে তৃণমূল সরকারকে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করলেন, বাংলার রাষ্ট্রপতি শাসনে লাভ তৃণমূলেরই। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর কথায়,'রাজনৈতিক শহিদ হতে দেব না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।'  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje) বলেন, 'আজকে ভয়ে ইউপি কথা বলতে পারে না। রাজস্থান কথা বলতে পারে না। দিল্লি ভাল করে কথা বলতে পারে না। ভয় আমাদের দেখাল। আমি বলি কী আর করবে? রাষ্ট্রপতি শাসন? করে দেখো না। দারুণ হবে।  করে দেখো। তাহলে আমার অনেক কাজ কমে যাব। আমি অন্তত সারা জায়গায় মিটিং-মিছিল করে ঘুরে বেড়াব। আর তোমাদের ভোটটাকেও সব নিয়ে নেব। একটু করে দেখাও।'


রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করলেও শীর্ষ নেতৃত্ব সেই পথে হাঁটতে চায় না। Zee ২৪ ঘণ্টাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেছিলেন,'আবেগের বশে অনেকে বলছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে, এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করব।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে বলেছিলেন, 'বিরোধী রাজনৈতিক দল দাবি করতেই পারে। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি শাসন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার দাবি মেনে হয় না ৷ ভারতীয় সংবিধান মেনেই একমাত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যেতে পারে ৷ কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে গেলে আগে রাজ্যপালের রিপোর্ট দেখতে হয় ৷' তবে কলকাতায় এসে শাহ মন্তব্য করেছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্বের সুরেই মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ দিন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক শহিদ হতে দেব না। উনি বলতে পারেন, দেখো আমায় ৩৫৬ দিয়ে হঠিয়ে দিল। সেটা হতে দেব না। আমরা চাই না। ওঁরা চেষ্টা করছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক যাতে লোকে মরিয়া হয়ে বলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। উনি এই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন। এতে ওঁর রাজনৈতিক লাভ।'       


 আরও পড়ুন- ১০ বছরে সরকারে থেকে সরকারের সবটা খেয়ে নির্বাচনে এর সাথে ওর সাথে বোঝাপড়া: Mamata