নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে এর আগে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। বোধহয় এই দিনটারই অপেক্ষায় ছিলেন!  বিরোধী শিবিরকে জবাব দিতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকেই বেছে নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন তিনি। মমতার দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় ৪২-এ ৪২, হুঙ্কার প্রত্যয়ী মমতার
পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের হিংসার অভিযোগে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে বিজেপি-সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে অনেক জায়গায় প্রার্থীই দিতে পারেননি তাঁরা। মামলা-মোকদ্দমা, আদালত, আইনি জটিলতায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছিল, যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল আমজনতার মনে। বিরোধীদের অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন শাসকদলের একাধিক নেতা। তবে এই নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে সন্ত্রাসের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। 


আরও পড়ুন: তৃণমূলের একুশের মঞ্চে ঋতব্রত


নেত্রীর অভিযোগ, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে বিজেপি। কিন্তু তা কাজে আসেনি। তার কারণটাও জানিয়ে দেন তিনি। মমতার দাবি, ত্রিপুরার মডেল পশ্চিমবঙ্গে কাজে করবে না।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ‘‘ঝাড়গ্রামের অনেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। আমি তো অভিযোগ জানাইনি! মহেশতলার ভোটে মনে হল,  যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বাঙ্কার তৈরি করল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি এলাকায় এলাকায় টাকা, বাইক, ফোন দিচ্ছে। মিথ্যে কথা বলছে। দোকান দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আলিপুরদুয়ারে একটা গ্রামসভা দখল করেছে। পরে শুনলাম,  প্রতিটা পরিবারের এক একজনকে এক হাজার টাকা করে দিয়েছে।  টাকা দিয়ে একশো ভোট কেনা যায়, দশ কোটি ভোট কেনা যায় না!’’ 
এবার পঁচিশের একুশের মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে ৪২-এর মধ্যে ৪২ টাই দখলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সঙ্গে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।