নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে বিকেল ৩টে নাগাদ জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে জলপাইগুড়ি পুলিস লাইনে হয়ে সোজা পূর্ত দফতরের ইন্সপেকশন বাংলোতে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিকেলে সেখানেই তিনি জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলার তৃণমূল নেতা, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঋতব্রত ভট্টাচার্যও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বৈঠকে কড়া বার্তা দেন নেত্রী। দুয়ারে সরকারের কাজ ভালভাবে করার নির্দেশ দেন। 'দুয়ারে সরকার' গেম চেঞ্জার হবে বলে দাবি তাঁর। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়েও সরব হতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "উত্তরবঙ্গের আদিবাসী মানুষজনকে বোঝাতে হবে সবাই নাগরিক। এরাজ্যে সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন। কাউকে দেশ ছেড়ে যেতে দেব না।"


পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গৌতম দেব বলেন, "এটা দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। আমাদের দল গণতান্ত্রিক দল। দল করতে গিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ না খুলে দলের অভ্যন্তরে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। পাশাপাশি 'দুয়ারে সরকার' নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের তৃণমূল কর্মীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন। একইসঙ্গে চা বলয়ে চা-সুন্দরী প্রকল্প নিয়েও জোর প্রচার করতে বলেছেন।" 


উল্লেখ্য, এদিনের কোর কমিটির সভায় সভায় সবাই উপস্থিত থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন না জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বোস। এবিষয়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "আসলে এই মিটিংযে যাওয়ার জন্য গতকাল কোভিড টেস্ট হয়েছিল। তার রিপোর্ট আমার হাতে আসতে দেরি হওয়ায়, আমি আজকের মিটিংয়ে যেতে পারলাম না।" 


অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির ৭ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীও উপস্থিত ছিলেন। কদিন আগেই যিনি 'বেসুরো' ছিলেন। পিকেকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে নেত্রী তাঁকে কী নির্দেশ দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করলে অবশ্য কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যান তিনি।


আরও পড়ুন, 'সবটা মিথ্যে, ১ শতাংশ কাজ,' তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা বিজেপির ফেইল কার্ড!