নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বৈরাচারীর মতো দল চালাচ্ছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক দক্ষিণ দিনাজপুরের সেরা রাজনৈতিক সংগঠক বলে পরিচিত বিপ্লব মিত্র। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে সোমবার দিল্লিতে যোগ দিলেন বিজেপিতে। আর তার পরই প্রথম সেলটা ছুঁড়লেন প্রাক্তন দলনেত্রীকে লক্ষ্য করে। রীতিমতো কথার খেলাপ করার অভিযোগ তুললেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন পুরনো দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন বিপ্লববাবু। বলেন, লোকসভা নির্বাচনে অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী না করতে অনুরোধ করেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা শোনেননি। বলেছিলাম, সাংসদ হিসাবে অর্পিতার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। ২০১৭ সালের বন্যায় তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। আমরা মাঠে ময়দানে নেমে পরিস্থিতি সামলেছি। 


বিপ্লববাবুর দাবি, 'অর্পিতা ঘোষকেই বালুরঘাটে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাত ধরে বলেন, আপনাকে রাজ্যসভায় পাঠাব।' বিপ্লববাবুর অভিযোগ, উলটে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর উত্তরবঙ্গে প্রথম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয় তাঁকেই। যেখানে সব থেকে কম ভোটে হেরেছে তৃণমূল।  


এই প্রথম, তৃণমূলের থেকে আস্ত জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিল বিজেপি, মুকুল বললেন ভূমিকম্প


বিপ্লববাবু এদিন সাংবাদিকদের জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাঁকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুকুল রায়। এমনকী বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন দলবদল করেননি তিনি। করলে অন্তত ১ লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতত বলে দাবি তাঁর। 


এদিন বিপ্লব মিত্রের দল ছাড়ার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা ববি হাকিম বলেন, যাঁরা দল ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁরা ধান্দাবাজ। তারা গান্ধীজির হত্যাকারীর দলে গেল। বিজেপি এদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। 


পালটা বিপ্লব মিত্র বলেন, কোনও দিন ধান্দাবাজি করিনি। মমতা স্বৈরাচারীর মতো দল চালাচ্ছেন।