জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলার দিঘা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ধৃতদের মধ্যে একজন গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। আরেকজন ক্যাফেতে বোমা রাখে। বাংলা থেকে ২ অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর বিরোধীরা নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। বাংলা অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বলে তোপ দাগেন বিরোধীরা। কোচবিহারের দিনহাটায় নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডের গ্রেফতারি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বলেন, "বেঙ্গালুরুতে একটা বোমা পড়েছিল। বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাঁরা কর্নাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়েছিল।  বাংলার পুলিস ধরেছে। বাংলার পুলিস ২ ঘণ্টায় অভিযুক্তদের ধরে দিয়েছে। তাতেই প্রশ্ন তুলছে বাংলা নিরাপদ নয়! উত্তরপ্রদেশ নিরাপদ? রাজস্থান নিরাপদ? গুজরাট নিরাপদ? বিহার নিরাপদ? বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকুক, সহ্য হয় না ওদের।" চাঁছাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন মমতা। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কাঁথি থেকে আবদুল মাতিন তাহা ও মুসাভির হুসেন সাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বিস্ফোরণের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিল ধৃত মাতিন। আর ক্যাফেতে আইডি প্ল্যান্ট করে ধৃত সাজিব। ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। একটি ব্যাগের মধ্যে রাখা বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আইডি জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে, ঘটনার কিছু পরই বিবৃতি দিয়ে জানান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।


এদিন গ্রেফতারির পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন,"পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল। এটা আগেও প্রমাণিত। পাঞ্জাব পুলিস চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতী এনকাউন্টার করেছে। গোটা দেশে যত বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘটনা ঘটে তাদের সেফ জোন এটা। মমতা ব্যানার্জি নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। সরাসরি। এখানে রাষ্ট্র বিরোধী একটি সরকার থাকার জন্য তাদের পুলিসকে পার্টি ক্যাডারে পরিণত করেছে। পুলিসের নিজস্ব কাজ না করতে দেওয়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে।" ওদিকে দিলীপ ঘোষও বলেন, "ভারতবর্ষের যেখানে বিস্ফোরণ হয়, তার সঙ্গে যোগ থাকে পশ্চিমবঙ্গের। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসে, রোহিঙ্গারা এখানে আসে, আধার কার্ড বানায়, রেশন কার্ড পরিচয়পত্র নিয়ে সারা দেশে চলে যায় চক্রান্ত করে। বাঙালিদের দেশদ্রোহী করার জন্য কারা চক্রান্ত করছে। এখানকার সরকার কেন দেখে না?"


আরও পড়ুন, Sheikh Shahjahan: ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান! ইডির কাছে দুঃখপ্রকাশ সন্দেশখালির ত্রাসের....



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)