নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপাল আগে টুইট করেছে তারপর আমায় ফোন করেছে। ধনখড়ের মন্তব্যের পরই বিশ্বভারতীর নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে গত ২ দিন ধরেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। চলেছে ভাঙচুরও। এ নিয়ে রাজ্যসরকারকে তোপ দেগে টুইটও করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বিশ্বভারতী নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে টুইটারে সরব হন রাজ্যপাল। এরপরই বেলায় তিনি জানান যে, "বিশ্বভারতীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সবরকম পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" 


আরও পড়ুন: 'সম্মানহানি হয়েছে রাজভবনের', উপাচার্য পরিষদের প্রধানকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল


এরপরই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন মমতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে ইঁট-সিমেন্টের কনস্ট্রাকশন হোক তা চান না বলেই স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, "রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি সেখানে একটা কনস্ট্রাকশন হচ্ছিল।


সেখানে বেশ কিছু বহিরাগতরা ছিলেন। যারা ওই নির্মাণের সময় প্রটেকশন দিচ্ছিল। ছাত্র-ছাত্রী এবং বোলপুরের মানুষ আপত্তি জানিয়ে তার প্রতিবাদ করে। বিষয়টি আমার কানে আসতেই আমি জেলাশাসককে একটা বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছি। বলেছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য, ছাত্র প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি নিয়ে মিটিং করতে। আমি চাই না ওখানে কোন কনস্ট্রাকশন হোক।" 


মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও বলেন যে, "রবীন্দ্রনাথ চাইতেন, পাখির কিচিরমিচির, খোলা আকাশ, গাছ, প্রকৃতির মাঝেF পড়াশোনা হোক। এমন কিছু করা যাবে না, যাতে রবীন্দ্র মহিমা, গৌরব ও ঐতিহ্যে আঘাত লাগে।  শান্তিনিকেতনের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।


এই শান্তির জায়গা সবার প্রিয়। উপাচার্য না ডাকলে পুলিস ভিতরে যেতে পারে না। তবে আমার অনুরোধ থাকবে এমন কোনও কাজ না হোক যাতে বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট হয়। কোন গৌরবই যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেটা আমাদের দেখা উচিত।"


আরও পড়ুন: কোন খাতে স্কুল কী খরচ করছে? খুঁটিয়ে দেখতে কমিটি গড়ে দিল হাইকোর্ট


প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত পরশুদিন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেইমত পরশুদিন মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঠিকাদার কর্মীদের মারধর করেন। পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দেন।


এরপরই সোশ্যাল মাধ্যম থেকে শুরু করে বোলপুর শহরবাসীর মধ্যে পাঁচিল তোলার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। 'মেলার মাঠ বাঁচাও' বলে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়। দফায় দফায় চলতে থাকে অশান্তি। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্বভাররতী প্রাঙ্গন।