নিজস্ব প্রতিবেদন:  সংসার করতে চাইতেন না বৌমা। পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাবেন বলে একাধিকবার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। ছেলেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন বৌমা। এমনকি নাতিকেও পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। বারাসতে  মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ  গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর সাত বছরের সন্তান আমনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বাবা মহম্মদ ওয়াসেভ আলির অভিযোগের ভিত্তিতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।  বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার SVF কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা


মহম্মদ গিয়াসউদ্দিন  আমডাঙার এলমেনুর বরকত হাইমাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষকতা করতেন। বারাসতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ত্রী কাশ্মীরা বেগম ও ছেলে আমনকে নিয়ে থাকতেন তিনি। স্ত্রীও কয়েকমাস আগে হাবড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে ইংরাজি ভাষায় শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন।


 স্ত্রী কাশ্মীরার বয়ান অনুযায়ী,  অন্যান্য দিনের পর  বুধবার সকালেও তিনি স্কুলে চলে যান। পরিচারিকা এসে বাড়িতে কাজ করে চলে যান। গিয়াসউদ্দিনের স্কুলে পিকনিক ছিল। ছেলেকে নিয়ে স্কুলের পিকনিকে যাওয়ার কথা ছিল গিয়াসউদ্দিনের। কাশ্মীরার কথায়, তিনি দুপুরে গিয়াসউদ্দিনকে ফোন করে জানতে পারেন, তিনি স্কুলে যাননি। আর সেক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখান তিনি। “ছেলে কোথায়?” জিজ্ঞাসা করতেই গিয়াসউদ্দিন নাকি জানিয়েছিলেন, “আমন বাইরে খেলছে।” শেষবারের মতো তখনই স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় কাশ্মীরার।


আরও পড়ুন: সুপ্রিম’ নির্দেশে PTTI মামলায় বড় জয় মামলাকারীদের, ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ


এরপর বিকালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। দরজা ঠেলে ভিতরে তিনি শোওয়ার ঘরে গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন গিয়াসউদ্দিন। পাশের ঘরে পড়েছিল নিথর ছেলের দেহ।  পুলিসকে কাশ্মীরা জানিয়েছিলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বচসা ছলছিল গিয়াসউদ্দিনের।  পুলিস প্রাথমিকভাবে মনে করছে, ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন গিয়াসউদ্দিন। বৃহস্পতিবার গিয়াসউদ্দিনের বাবার অভিযোগের পর এই ঘটনায় কাশ্মীরার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।