সংসদে চম্পাহাটির জন্য উড়ালপুল চাইলেন মিমি, বসিরহাটে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দাবি নুসরতের
বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এবার সংসদে গিয়েছেন নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এবার সংসদে গিয়েছেন টলিউডের দুই অভিনেত্রী নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। নিজেদের এলাকার জন্য সংসদে তাঁরা কী বলেন তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল অনেকটাই। বুধবার লোকসভায় তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান।
আরও পড়ুন-কাটমানি কাণ্ডে 'খুন' তৃণমূল কর্মী, উদ্ধার দেহ, কাঠগড়ায় বিজেপি
যাদবপুরের জন্যে বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, চম্পহাটি রেল স্টেশনে একটি ফ্লাইওভারের দাবি বহু পুরনো। এনিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বছরের পর বছর তার ফল ভোগ করছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশাল জ্যামে আটকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে রোগী ও পড়ুয়াদের।
মিমি আরও বলেন, চম্পাহাটির মতো একই সমস্যা রয়েছে বিদ্যাধরপুর ও সোনারপুরে। দুটি স্টেশনই শিয়ালদহ ডিভিশনে। বিদ্যাধরপুরে কোনও লেভেল ক্রসিংই নেই। এলাকার মানুষের এই দাবি বহুদিনের। এনিয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-একা বিজেপিকে রুখতে পারবেন না, নিজেই স্বীকার করে নিলেন মমতা: মুকুল
অন্যদিকে, এদিন সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রাখেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানও। নুসরত বলেন, বসিরহাট সীমান্ত এলাকা। ফলে এখানে বহু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী চব্বিশ ঘণ্টা তাদের ডিউটি করেন। পাশাপাশি এখানে কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত সেনা রয়েছেন। এখানে ষাট কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নেই। আমার এলাকার ৮০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বাস করেন। এদের অনেকেই আবার তপসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। বেসরকারি স্কুলে তাদের সন্তানকে পাঠানো কোনও ক্ষমতাই এদের নেই। ফলে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ আমার এলাকায় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের স্থাপন করুক সরকার।